সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস সৃষ্টিতে আমেরিকার ভূমিকা সবাইকে জানাতে হবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শাহচেরাগে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মূল হোতা দায়েশ বা আইএস ছাড়াও এর মূল পৃষ্ঠপোষকরা ও আইএস’র প্রতিষ্ঠাতারা অর্থাৎ আমেরিকা ও এর সহযোগীরা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তারা এতোটাই মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড যে, মুখে মানবাধিকারের শ্লোগান দেয়, কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন বিপজ্জনক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শিরাজ শহরে হজরত আহমাদ বিন মূসা আলাইহিস সালাম (শাহচেরাগ)-এর মাজারে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি আজ (মঙ্গলবার) এসব কথা বলেন। আজ সকালে তেহরান ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসাইনিয়াতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শাহচেরাগ (আ.) এর পবিত্র মাজারে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলা মানুষের হৃদয়কে দুঃখ ভারাক্রান্ত করেছে। তবে তা ইরানের ইতিহাসে লেখা থাকবে। এসব শয়তানির পেছনের শক্তি অর্থাৎ আইএস’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকার ভূমিকা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে শাহচেরাগের সন্ত্রাসী হামলার পার্থক্য রয়েছে। কখনো কখনো সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এটা এক ধরনের বিষয়। কখনো কখনো জিয়ারতকারীদের ওপর হামলা চালানো হয় যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক কোনো সম্পর্ক নেই। এটা হলো আল্লাহর সঙ্গে নৈকট্য অর্জনের স্থান।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, আমেরিকা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে তারা দায়েশ (আইএস)-কে সৃষ্টি করেছে, কিন্তু তারা লোক দেখানোর জন্য মানবাধিকারের ঝাণ্ডা হাতে ধরে আছে এবং নারী অধিকারের কথা বলছে। তারা শাহচেরাগের সন্ত্রাসী ঘটনায় তাদের আসল চেহারা ফাঁস হয়ে গেছে এবং তারা অপদস্থ হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর ইরানের শিরাজ শহরে হজরত আহমাদ বিন মূসা (আ.) এর মাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ২ শিশুসহ ১৩ জন জিয়ারতকারী শহীদ ও ৩০ জন আহত হন। #
পার্সটুডে/এসএ/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।