ইরানি ছাত্রদের র্যালির ছবি
হাসি এবং সংগ্রাম; ইরানে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবস পালন
পার্সটুডে- ফার্সি ১৩ অবনকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবস হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে, সারা দেশে ছাত্র এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও র্যালিতে সমগ্র ইরানের অসংখ্য স্কুল, কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগ দিয়েছে।
ফার্সি মাস ১৩ অবন ইরানের ইতিহাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রতীক। ফার্সি ১৩৪২ সালে ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) এর তুরস্কে নির্বাসন, ১৩৫৭ সালে পাহলভি সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছাত্রদের শহীদ হওয়া এবং ১৩৫৮ সালে ইরানের ছাত্রদের হাতে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া হিসাবে পরিচিত আমেরিকার দূতাবাস দখলের ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়।
ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর, ফার্সি অবন মাসের ১৩ তারিখকে শহীদদের স্মৃতি চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই দিনটিকে ইরানের ক্যালেন্ডারে 'ছাত্র দিবস' এবং একইসাথে 'বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবস' হিসাবে নামকরণ করা হয়।
ইরানিদের ভাষ্যমতে, ১৩ অবন হচ্ছে ইরানি ছাত্রদের বিরত্বগাঁথা ও ত্যাগের স্মারক।
প্রতি বছর ইরানের জনগণ তাদের এই জাতীয় দিবসের র্যালিতে যোগ দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও ইসলামী সংহতি প্রদর্শন কোরে এবং ইসলামী বিপ্লবের বাণী অর্থাৎ "স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বাণী বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে।
ইরানে ১৩ অবন জাতীয় দিবসের র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি তাদের সমর্থন সবার সামনে দেখানোর চেষ্টা করছে।
৩ আবন সম্পর্কে ইমাম খোমেনী (রহ.) এর খুবই বিখ্যাত একটি বক্তব্য: "ইসলাম, পবিত্র কোরআন এবং বিশ্বনবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে, পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অবৈধ সন্তান ইহুদিবাদী ইসরাইল"।
ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়িও তার এক বক্তৃতায় ১৩ অবন সম্পর্কে বলেছেন: এ দিবস ছিল ইরান ও বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য ও অহংকারের পতনের দিন।
ইরানে ১৩ অবনের মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দেখানোর চেষ্টা করছে যে তারা ইসলামী বিপ্লব এবং প্রতিরোধ যুদ্ধের শহীদদের পাশে আছে।
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।