ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ১৮:৩৬ Asia/Dhaka

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান টুইটারে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত বাগদাদ-২ সম্মেলনের অবকাশে তার বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছেন।

তিনি আজ (বুধবার) আরবিতে লেখা এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, "ইরাকের প্রতি জোরালো সমর্থন দিতে জর্ডানে অনুষ্ঠিত বাগদাদ-২ সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। সম্মেলনের অবকাশে ওমান, কাতার, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবের মন্ত্রী জানিয়েছেন তারা ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছে।"

হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এর আগে তার দেশের ১৩তম সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রনীতি রাজনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং তা পাশ্চাত্য বা প্রাচ্যকে অনুসরণ করে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির সরকার স্মার্ট কূটনীতি, খোলা দরজা এবং সব দেশের সাথে কার্যকর সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছে। 

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মাধ্যমে তেহরানের একটি গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি বিশেষ করে আঞ্চলিক দেশগুলোকে ঘিরে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে। .

ইরানের ১৩তম সরকার ২০২১ সালের ৩ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। পূর্ব বা পশ্চিম নয় নীতির উপর ভিত্তি করে বৈদেশিক নীতির ভারসাম্য বজায় রাখা এই সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে একটি যা দেশের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে বর্তমান সরকার দেখিয়েছে যে তারা পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য রক্ষায় বিশ্বাস করে এবং সর্বপ্রথম প্রতিবেশী ও ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার উন্নয়নে তেহরান বৈদেশিক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জাভেদ মনসুরি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রায়িসির সরকার পররাষ্ট্র নীতিতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণ করেছে এবং এর ফলে কিছু সরকার ইরানের সাথে তাদের আচরণ পুনর্বিবেচনা করেছে।

মোট কথা সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির সরকার সব সময় প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট শুরু থেকে থেকেই  অর্থনৈতিক কূটনীতির কেন্দ্রীয় বিন্দু হিসাবে প্রতিবেশীদের সাথে ভালো যোগাযোগ এবং ব্যাপক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। এর আগে হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান আরব দেশগুলোকে ইসলামিক বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে জোর দিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলি সহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশগুলিতে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।' #

পার্সটুডে/এমবিএ/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ