হিরমান্দ নদীর পানি বণ্টন চুক্তি
নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রসঙ্গে ছাড় দেবে না ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে যৌথ নদী হিরমান্দের পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি তালেবান সরকারের সামনে তুলে ধরেছে।
তিনি উজবেকিস্তানের সামারকান্দ শহরে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে এক টুইটার বার্তায় একথা জানান।
নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান লিখেছেন, “সামারকান্দ শহরে মি. মুত্তাকির সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকে হিরমান্দ নদীর পানিতে ইরানের ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি শক্ত ভাষায় তুলে ধরেছি।”
তিনি আরো লিখেছেন, “এ সময় আফগান মন্ত্রী ইরানের ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন এবং আমরা দু’দেশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছি।” ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক এরপর লিখেছেন, “আমরা ইরানের পানির অধিকার প্রশ্নে কোনো আপোষ করব না।”

হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর পানি বণ্টন প্রশ্নে তেহরান ও কাবুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে উৎসারিত হয়ে প্রায় ৭০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে নদীটি ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের হামুন জলাশয়ে পড়েছে।
হিরমান্দ নদীর পানি বণ্টন প্রশ্নে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ১৯৭৩ সালে একটি চুক্তি সই হয়।ওই চুক্তিতে প্রতি বছর গড়ে ইরানকে ৮২ কোটি ঘনমিটার পানি দিতে সম্মত হয় আফগানিস্তান। তবে কাবুল ওই চুক্তি মেনে চলছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে তেহরান।
ইরান বলছে, আফগানিস্তান হিরমান্দ নদীতে অসংখ্য বাঁধ নির্মাণ করে বড় বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার কারণে নদীটির পানিপ্রবাহ কমে গেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের নিমরুজ প্রদেশের কামাল খান বাঁধ এবং কান্দাহার প্রদেশের কাজাকি বাঁধ হিরমান্দ নদীর পানিপ্রবাহে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৮