ইরানি নৌবহরের প্রথম বিশ্ব পরিভ্রমণে শক্তির প্রমাণ দিয়েছে 'দেনা': ইরানের নৌ কমান্ডার
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i124192
ইরানের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো নৌ পথে গোটা বিশ্ব পরিভ্রমণ করেছে নৌ বহর-৮৬। এই বহরে ছিল নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার 'দেনা' ও যুদ্ধজাহাজ 'মাকরান'। নৌবাহিনীর এই বহরের অভিযানকে ৩৬০ ডিগ্রি অভিযান হিসেবেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
জুন ০৯, ২০২৩ ১৫:৫০ Asia/Dhaka
  • নামাজরত নৌ সেনারা
    নামাজরত নৌ সেনারা

ইরানের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো নৌ পথে গোটা বিশ্ব পরিভ্রমণ করেছে নৌ বহর-৮৬। এই বহরে ছিল নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার 'দেনা' ও যুদ্ধজাহাজ 'মাকরান'। নৌবাহিনীর এই বহরের অভিযানকে ৩৬০ ডিগ্রি অভিযান হিসেবেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

এই বহরে 'দেনা' ডেস্ট্রয়ারের ভূমিকার প্রশংসা করে ইরানের সেনাবাহিনীর নৌ ইউনিটের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি আজ (শুক্রবার) বলেছেন, বিশ্ব পরিভ্রমণে 'দেনা' ডেস্ট্রয়ারের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগানো হয়েছে এবং এর মধ্যদিয়ে গোটা বিশ্বে ইরানের সম্মান-মর্যাদা যেমন বেড়েছে তেমনি জাতীয় শক্তি ও দৃঢ়তা প্রদর্শিত হয়েছে।

ইরানের এই নৌবহরটি ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ইরানের বন্দর আব্বাস থেকে যাত্রা শুরু করে ২৩৬ দিন বিশ্বের নানা সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে ওমানের সালালাহ বন্দরে নোঙর করে। এরপর সেখান থেকে গত মাসে আবারও বন্দর আব্বাসে ফিরে আসে। এ সময় এই নৌবহরকে ইরানের বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানের একটি বহর এবং নৌ বাহিনীর একটি বিশাল বহর ইরানের জলসীমায় স্বাগত জানায়। এই পরিভ্রমণে ইরানের নৌবহর ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়। এ সময় তারা কোনো উপকূলের সহযোগিতা নেয়নি। এই বহর এই অভিযানে প্রায় ৬৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।

ইরানের নৌবাহিনীর এই সাফল্য গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে।

এই নৌবহরের সাফল্য তুলে ধরে ইরানের নৌ বাহিনীর প্রধান আরও বলেছেন- ইরানি তরুণেরা এই সফল অভিযানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইরানকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।#

পার্সটুডে/এসএ/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।