আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে জিহাদ নেতাদের সাক্ষাৎ
ইসরাইলের ৮০ বছর পূর্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে: সর্বোচ্চ নেতা
-
ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালার নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার তেহরানে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের বিজয়ের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, দখলদার ইসরাইল সরকারকে নতজানু করতে হলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।
ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালার নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার তেহরানে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ৯ মে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপর ব্যাপকভাবে বিমান হামলা শুরু করে। এর জবাবে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরাইল অভিমুখে এক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে ১৩ মে মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
জিহাদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ৭০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবস্থা অনেক বেশি শোচনীয়। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ইসলামি জিহাদ যে শক্তি দেখিয়েছে তাতে ইসরাইলি নেতাদের এই সংশয়ে পেয়ে বসেছে যে, তারা তাদের অবৈধ রাষ্ট্রের ৮০ বছর পূর্তি উৎসব করতে পারবে কিনা।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের পিঠ যেভাবে দেয়ালে ঠেকে গেছে তাতে বোঝা যায়, ইসলামি জিহাদসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন তাদের কর্মপদ্ধতি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং সেটা তারা অনুসরণ করছে।
বড় লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে হয়- উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জিহাদসহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর শক্তিমত্তা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে এবং সাম্প্রতিক পাঁচদিনের সংঘাতে জিহাদ আন্দোলনের বিজয় এই বাস্তবতার প্রমাণ বহন করছে।
গাজা উপত্যকার পাশাপাশি জর্দান নদীর পশ্চিম তীরেও প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু করার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর প্রশংসা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি ইসরাইল বিরোধী সংগ্রামে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার জন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সাক্ষাতে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জিয়াদ আন-নাখালা। তিনি আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সামনে ফিলিস্তিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।