ইরান এসিডি'র সভাপতি নির্বাচিত: বিরোধী পক্ষের ব্যর্থতার প্রমাণ
এশিয়া সহযোগিতা সংলাপ বা এসিডি'র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে ইরান। এ ঘটনায় প্রমাণিত হলো ইরানকে কোনঠাসা করার সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের অবকাশে এশিয়ান কো-অপারেশন ডায়ালগ (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৮তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে এসিডি'র নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
এশিয়ান কোঅপারেশন ডায়ালগ ফোরাম ২০০১ সালে এশিয়ার ১২টি দেশকে নিয়ে গঠিত হয়। এশিয়ান দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করা, আর্থিক বাজার ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এশিয়াকে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে শক্তিশালী অংশীদারে পরিণত করা এবং বিশ্বে এশিয়ার প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২০০২ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক ১৮টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই ফোরাম গঠন এবং ফোরামের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। এসিডি গঠিত হবার পর চার বছরের মধ্যে সদস্য দেশের সংখ্যা ১৮ থেকে ৩৩-এ উন্নীত হয়।
বর্তমানে এই ফোরামের সদস্য সংখ্যা ৩৫। সদস্য দেশগুলো হলো ইরান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, লাওস, নেপাল, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, চীন, মঙ্গোলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, কুয়েত বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ফিলিস্তিন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।
এশিয়ান কোঅপারেশন ডায়ালগ সংলাপের ওপর ভিত্তি করেই গঠিত হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পর্যালোচনা এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সহযোগিতা বিস্তারের নতুন নতুন পন্থা খুঁজে বের করার মাধ্যমে সম্পর্ক শক্তিশালী করার চেষ্টাও রয়েছে। এসিডি'র সচিবালয় কুয়েতে অবস্থিত। বছরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ২টি বৈঠক হয় এসিডি'র। ১টি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অবকাশে অপরটি এসিডি'র প্রধানের দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এবার যেহেতু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুতরাং এসিডি'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৯তম বৈঠক হবে ইরানে।
যাই হোক, ইরানের এসিডি'র সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক রয়েছে। প্রথম দিকটি হলো আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমেরিকার নেতৃত্বে যারা ইরানকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করেছিল তাদের ব্যর্থতা আবারও প্রমাণিত হলো। দ্বিতীয়ত ইরান সবসময়ই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শিল্প-অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দিয়ে এসেছে। এখন ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহজ হবে। একইভাবে ইরানও অপরাপর দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা থেকে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।#
পার্সটুডে/এনএম/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।