গাজা ইস্যুতে বিশ্বের মুসলিম সরকার ও জনগণের দায়িত্ব কী, জানালেন সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গাজার ঘটনা দুই দিক থেকে নজিরবিহীন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষ থেকে এটা নজিরবিহীন। কারণ, তারা কখনোই আর এভাবে এত বেশি শিশু হত্যা করেনি, হাসপাতালের রোগীদের ওপর এভাবে আর কখনোই বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা ফেলেনি। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন নির্মমতা আর দেখা যায়নি। গাজার ঘটনা ফিলিস্তিনি জনগণ ও ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের পক্ষ থেকেও নজিরবিহীন। কারণ, এমন দৃঢ়তা, ধৈর্য, প্রতিরোধ আর দেখা যায়নি। শত্রুদেরকে তারা পাগল করে দিয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে আজ (শনিবার) কেরমান ও খুজিস্তান প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গাজার জনগণ ও গাজার যোদ্ধারা পর্বতের মতো রুখে দাঁড়িয়েছে। পানি, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি পাচ্ছে না, তবু তারা দৃঢ়, তারা আত্মসমর্পণ করছে না। আত্মসমর্পণ না করার কারণেই তারা বিজয়ী হবে। গাজায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের বিজয়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, নিঃসন্দেহে দখলদার ইসরাইল একদিন পৃথিবী থেকে নির্মূল হবে। ইনশাআল্লাহ এটা নিশ্চিত। আশা করি তরুণেরা তা দেখতে পাবেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সাহায্য-সমর্থন করা সবার দায়িত্ব, আর ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি সমর্থন-সাহায্য দেওয়া হলে তা হবে অপরাধ।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, কিছু মুসলিম সরকার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সহায়তায় অপরাধ করছে। এখন মুসলিম সরকারগুলোর দায়িত্ব হলো- পণ্য, তেল, জ্বালানি ইত্যাদি ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে পৌঁছাতে না দেয়া, ঠিক যেভাবে দখলদার ইসরাইল গাজার মানুষের কাছে পানি পৌঁছাতে দিচ্ছে না।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, মুসলিম দেশগুলোর জনগণের দায়িত্ব হলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ করতে নিজ নিজ সরকারের প্রতি দাবি জানানো এবং ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা। যদি তারা সম্পর্ক স্থায়ীভাবে ছিন্ন করতে না পারে, তবে অন্তত সাময়িকভাবে যেন সম্পর্ক ছিন্ন করে।#
পার্সটুডে/এসএ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।