ইরানের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেয়া হয়েছে মাত্র: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
(last modified Wed, 17 Jan 2024 03:21:57 GMT )
জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ০৯:২১ Asia/Dhaka
  • নাসের কানয়ানি
    নাসের কানয়ানি

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটির কেরমান শহরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতেই কেবল সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গিদের আস্তানা ও ইরাকে ইসরাইলি গুপ্তচরবৃত্তির আখড়ায় হামলা চালানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি মঙ্গলবার তেহরানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইরানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার লক্ষ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছে। যারা ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ইরান শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিয়েছে মাত্র।

ইরানের কেরমান ও রাস্ক শহরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সিরিয়া-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানার পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গুপ্তচরবৃত্তির আখড়ায় সোমবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই হামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কোনো কোনো দেশ যে সমালোচনা করেছে তার জবাব দিতেই কানয়ানি তার দেশের এ অবস্থান তুলে ধরেছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইরান সব সময় আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছে এবং অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতিও তেহরান পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু তাই বলে নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী যেকোনো সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেও ইরান দ্বিধা করবে না। তেহরান তার জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা ও অপরাধীদের শাস্তি দিতে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।

ইরানের কেরমান শহরে গত ৩ জানুয়ারির যে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১০০ মানুষ নিহত হয় তার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ। কেরমানের হামলার কয়েকদিন পর ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাস্ক শহরের একটি থানায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ১১ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও অপর অন্তত ছয়জন আহত হন। এসব হামলার জবাবে সোমবার রাতের হামলা চালায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ