ইসরাইলের ব্যর্থতার পর পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ব্যয় বেড়েছে
পার্সটুডে-একটি আমেরিকান সংবাদপত্রের মতে, গত এক বছরে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরাইলের সমর্থনে সেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে তারা যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তার জন্য আমেরিকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।
আমেরিকান সংবাদপত্র "বিজনেস ইনসাইডার" জানিয়েছে, গত এক বছরে পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থনে মার্কিন নৌবাহিনীর সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বেশী ব্যয় হয়েছে। পার্সটুডে জানিয়েছে, "বিজনেস ইনসাইডার" মার্কিন নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে: গত এক বছরে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন করা মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানগুলো ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ১৮৫ কোটি ডলার মূল্যের গোলাবারুদ ব্যয় করেছে এবং একইসাথে ইরান ও প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইলের অবস্থান আত্মরক্ষামূলক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর নজিরবিহীন অভিযান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে নৌ-অবরোধ ভাঙার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রচেষ্টাকে ঠেকিয়ে দিয়েছে এবং নিজেদের সামরিক শক্তিও দেখিয়ে তারা দিয়েছে যে সম্পর্কে ওয়াশিংটন বেখবর ছিল। তাই বলা যায় ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর এই সক্ষমতা আমেরিকার হিসাব নিকাশ সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের দু'টি সফল সামরিক অভিযান 'অপরাশেন ট্রু প্রমিস-ওয়ান' এবং' অপরারেশন ট্রু প্রমিস-টু' ইসরাইলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে এবং ইরানের হামলা ঠেকাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই বিষয়ে বিজনেস ইনসাইডার লিখেছে যে ১৩ এপ্রিল অপারেশন ট্রু প্রমিস ওয়ান এবং ১ অক্টোবর অপারেশন ট্রু প্রমিস টু অভিযান চালানোর সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
সম্প্রতি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের আয়রন ডোম সিস্টেমের ক্রমাগত ব্যর্থতা দেখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা শুরু করেছে। যার ফলে তাদের ব্যয় বহুগুণে বেড়ে গেছে। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।