ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনের অন্যতম প্রধান কারণ হল পশ্চিম এশিয়ায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভৌগোলিক অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হওয়ায়।
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এসআইপিআরআই) জানিয়েছে, গত এক দশকে পশ্চিম এশিয়ায় অস্ত্র আমদানি ২৫ শতাংশ বেড়েছে। সুইডেন ভিত্তিক এই সংস্থা সামরিক সংঘাত এবং অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি বলেছেন, পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের বের করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন: ইরান এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদারকে স্বাগত জানায় এবং সমর্থন করে।
ইরান ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ চলাকালে ইরানি দর্শকরা ইসরাইল নিপাত যাক বলে স্লোগান দেয়।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন: এ অঞ্চলের মানুষ অচিরেই ইহুদিবাদী ইসরাইলের পরিপূর্ণ ধ্বংস দেখবে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে প্রকৃত নিরাপত্তা আবারও ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা কারাই অশতিয়নি।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর উপ-সমন্বয়ক রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বলেছেন, ইরানকে বাদ দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় কোনো কিছুই সম্ভব নয়।
হামাস নেতাদের হত্যা করা হলে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা করার হুমকি দিয়েছিল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর এভিয়েশন ইউনিটের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইউসুফ কুরবানি বলেছেন- তাদের কাছে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী হেলিকপ্টার বহর এবং এটি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামে সমৃদ্ধ।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার পৃষ্ঠপোষকদের নীতি হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ায় অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা এবং অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়া। এই অঞ্চলের সব দেশেরই এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।