২০ হাজার মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করলো ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i134038-২০_হাজার_মেগাওয়াট_পরমাণু_বিদ্যুৎ_প্রকল্পের_কাজ_শুরু_করলো_ইরান
ইরানে শুরু হয়েছে আলোকোজ্জ্বল দশ প্রভাতের ৪২তম বার্ষিকী। দশকের প্রথম দিনেই ইরানের প্রেসিডেন্টের আদেশে সিরিক শহরে শুরু হয়েছে 'ইরান হরমুজ' পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪ ১৮:৪০ Asia/Dhaka

ইরানে শুরু হয়েছে আলোকোজ্জ্বল দশ প্রভাতের ৪২তম বার্ষিকী। দশকের প্রথম দিনেই ইরানের প্রেসিডেন্টের আদেশে সিরিক শহরে শুরু হয়েছে 'ইরান হরমুজ' পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ।

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধানের উপস্থিতিতে ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পরামর্শে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হবে।

সিরিকের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন হলে ইরান পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে এ অঞ্চলে প্রথম স্থান অধিকার করবে।

শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান একটি কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা দেশের পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ও উন্নয়নের প্রধান ভূমিকায় থাকায় তারা পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে একটা অংশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট ৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হরমুজগান প্রদেশের মিনাব এবং সিরিক শহরে স্থাপন করা হবে। প্রতিটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। বিশাল পরিমাণের এই পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিশ সালা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী এখন পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা তেল-গ্যাসের বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে সংকট প্রায় লেগেই থাকে। তাছাড়া ফসিল জ্বালানির মজুদও একসময় শেষ হয়ে যাবে। তাই পরমাণু বিদ্যুৎ জ্বালানির কোনো বিকল্প নেই। আবার পরিবেশ দূষণ ঠেকাতেও বিশ্বের সরকারগুলো গ্রিন-হাউজ গ্যাস কমিয়ে দূষণহীন জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। আর এই দূষণমুক্ত শ্রেষ্ঠ জ্বালানি হলো পরমাণু বিদ্যুৎ। বিশ্বের বহু দেশ এরইমধ্যে এই পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের শতকরা ১১ ভাগ বিদ্যুৎ এখন পরমাণু বিদ্যুতের সাহায্যে নিশ্চিত করা হচ্ছে। পরমাণু বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কার্বনের মতো দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানির পরিবর্তে ইরানও তাই নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই ২০ হাজার মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান। ইরানের ১৩তম সরকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।