মৃত্যুর পর জীবনের পরিপূর্ণতা সম্পর্কে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দুটি বক্তব্য
(last modified Tue, 16 Apr 2024 12:29:31 GMT )
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১৮:২৯ Asia/Dhaka
  • মৃত্যুর পর জীবনের পরিপূর্ণতা সম্পর্কে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দুটি বক্তব্য

(এক) মৃত্যু পরবর্তী আমাদের জীবনের পর্যায়টি আমাদের বর্তমান জীবনের চেয়ে আরও পরিপূর্ণ। আজ আমরা শরীরের চার দেয়ালে বন্দী ও সীমাবদ্ধ জীবন যাপন করছি।

ইসলামি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান ও মৌলিক দিক হচ্ছে মৃত্যুর পরও জীবন অব্যাহত থাকার বিষয়টি। অর্থাৎ মৃত্যু দিয়ে জীবন শেষ হয়ে যায় না। এ ব্যাপারে ইসলামসহ সমস্ত ঐশী ধর্মের বিশ্বাস এক ও অভিন্ন এবং এর বিরাট প্রভাব রয়েছে। এটা সবারই জানা উচিত যে, বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির এই নীতি বা বিশ্বাস জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে, ইসলামি সরকারের ভিত্তি গঠনে, সমাজ পরিচালনা এবং বিশ্ব পরিচালনায় প্রভাশালী ভূমিকা রাখে। মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষ যে ধ্বংস হয়ে যাবে তা নয় বরং মৃত্যুর পরে, আমরা একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করি। কেয়ামতের ময়দানে দুনিয়ার জীবনের যাবতীয় কার্যকলাপের হিসাব নিকাশ নেয়া হবে।  ( আয়াতুল্লাহলি উজমা খামেনেয়ির বক্তব্য, ২ ডিসেম্বর ২০০০)

(দুই) আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায়টি আমাদের বর্তমান জীবনের চেয়ে আরও পরিপূর্ণ। আজ আমরা শরীরের চার দেয়ালে বন্দী ও সীমাবদ্ধ। যদিও আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি সর্বগামী এবং দৃষ্টিভঙ্গি সর্বত্র বিরাজমান এবং আমাদের ইচ্ছা শক্তি অনেক কিছুকে অতিক্রম করতে পারে, কিন্তু এতো কিছুর পরও আমাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক। আমাদের মৃত্যু পরবর্তী জগতে ভিন্ন ধরনের এমন শারিরিক অবকাঠামো থাকবে যেখানে এই দৈহিক সীমাবদ্ধতা থাকে না এবং মানুষ অনেক ব্যাপক অর্থে অসীম হয়ে যাবে। অর্থাৎ একজন মানুষ মৃত্যুর পর পুনরুত্থান দিবসে বেহেশত ও দোজখে নিজের অস্তিত্বের বিশালতা খুঁজে পাবে। এ ব্যাপারে ঐশী ধর্মগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এক ও অভিন্ন। মৃত্যু পরবর্তী সময়ে দুই ধরনের জীবন আছে। একটি সুখী ও আরামদায়ক জীবন এবং সব দিক থেকে পরিপূর্ণ। আর অন্যটি হলো তিক্ত ও কঠিন জীবন এবং নির্যাতন ও কষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায়। প্রথমটিকে বেহেশত এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দোজখ। (আয়াতুল্লাহলি উজমা খামেনেয়ির বক্তব্য, ১৩ মে ১৯৯২)

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

ট্যাগ