মে ০২, ২০২৪ ১৬:৩২ Asia/Dhaka
  • সানায়ির লেখা একটি হামদ। শিল্পী চাভোশি
    সানায়ির লেখা একটি হামদ। শিল্পী চাভোশি

পার্সটুডে-ইরানী কবি সানায়ির লেখা গান 'মালিক"। এই গানটিতে রয়েছে আল্লাহর প্রশংসা। পপ সঙ্গীতের ধারায় আল্লার বন্দেগির প্রকাশ ঘটেছে এই গানে। "মালিক" গানটি ইরানি পপ শিল্পী "মোহসেন চাভোশি" এর অন্যতম কাজ।

'মালিক’ গানের লিরিক্স লিখেছেন ‘সানায়ি গজনভী’। তাঁর আসল নাম "আবুল মাজদ মাজদুদ বিন আদম" হলেও তিনি সানায়ি নামেই পরিচিত। তিনি হিজরির ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতাব্দীর (১১ম ও ১২শ খ্রিস্টাব্দ) একজন বিখ্যাত মরমি কবি ছিলেন। সানায়ির কবিতায় তার সমকালীন জ্ঞানের গভীরতার পরিচয় পাওয়া যায়।

রুমি নামে বিখ্যাত মাওলানা জালালুদ্দিন বালখিও নিজেকেসানায়ির অনুসারী মনে করতেন।

"মালিক" গানের গায়ক মোহসেন চাভোশি

মালিক গানের কথাগুলো আল্লাহর তাসবিহ এবং তাঁর বন্দেগিকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে।

ওই কবিতায় সানায়ি আল্লাহর বিভিন্ন গুণাবলী তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে "পবিত্রতা", "মহত্ব", "একত্ববাদ", "ক্ষমাশীলতা", "ন্যায়বিচার" এবং "সর্বজ্ঞানী"। আল্লাহর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম ও গুণাবলী উল্লেখ করার পর গীতিকার পূর্ণাঙ্গ ও ত্রুটিহীন অনন্য এক সত্তার কাছে আত্মনিবেদন করেন এবং তাঁর বন্দেগিকে পরিপূর্ণরূপে বরণ করেন।

এই কবিতার অনেক বিষয় কুরআনের আয়াত এবং ইসলামী ঐতিহ্য থেকে নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ গানে বলা হয়েছে: "তোমার কোন স্ত্রী বা সঙ্গী নেই" এটা কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছে। সূরা এখলাসে বলা হয়েছে : তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন-এই বাক্যাংশটি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে গানে।

সুরায়ে তোহিদ (ইখলাস)

বর্তমান পৃথিবীতে যখন পশ্চিমা বড় বড় মিউজিক কোম্পানি অধিক মুনাফা ও পুঁজি অর্জনের লক্ষ্যে অর্থহীন ও অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি করে, সে সময় ইরানের-ইসলামি শিক্ষায় সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী একটি কন্টেন্ট নির্মাণ করা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

গানের কথা নিম্নরূপ:

হে মালিক! তোমাকে স্মরণ করে বলি-তুমি এক এবং পবিত্র

তোমার দেখানো পথ ছাড়া যাবো না কোনো পথে যত্রতত্র

যা কিছুই চাই তোমার দরবারেই, তোমারই করুণার করি গান

তোমার তৌহিদের কথা বলি: সকল যোগ্যতা তোমাতেই বহমান

সমস্ত গৌরব ও মহত্ব তোমারই, সমস্ত জ্ঞান এবং বিশ্বাসের তুমিই আধার

সকল আলো আর আনন্দ, সকল ক্ষমা তোমার হাতে তুমিই দেবে পুরস্কার

সকল অদৃশ্যের দ্রষ্টা তুমি, তুমিই পারো করতে আড়াল দোষ-ত্রুটি

সকল বৃদ্ধিকে তুমিই করো হ্রাস, হ্রাস-বৃদ্ধিতে করো না ভ্রূকুটি

তোমার প্রশংসা করে যাবে না শেষ করা, কেননা তুমি জ্ঞানের অতীত

তুমি লা-শারিক তোমার অংশীদার ভাবাটাও অসম্ভব, কল্পনাতীত

স্ত্রী-সঙ্গীহীন, দম্পতিহীন তুমি, তুমি আহার এবং নিদ্রাহীন

তুমি একক তুমিই মালিক সৌভাগ্যের, নারী এবং সঙ্গীহীন

আহার-নিদ্রা থেকে মুক্ত তুমি, নেই তোমার কোনো অংশীদার

চেহারা ও রঙ থেকে মুক্ত তুমি, কোনো ভুল ত্রুটি নেই তোমার

যখন ছিল না সৃষ্টি, তুমি ছিলে, থাকবেনা সৃষ্টি যেদিন থাকবে তুমি

হ্রাস-বৃদ্ধি বলে কিছু নেই তোমার, অনড় অটল অবিনশ্বর তুমি।#

অনুবাদ: নাসির মাহমুদ

পার্সটুডে/এনএম/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ