ইরানের হামলা ঠেকাতে ন্যাটোর ২৪০ যুদ্ধবিমান মরিয়া প্রচেষ্টা চালায়: কমান্ডার
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i137338-ইরানের_হামলা_ঠেকাতে_ন্যাটোর_২৪০_যুদ্ধবিমান_মরিয়া_প্রচেষ্টা_চালায়_কমান্ডার
গতমাসে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইরানের চালানো পাল্টা হামলা ঠেকাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের ২৪০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার। তিনি বলেছেন, ইরানের হামলা ঠেকাতে গিয়ে এসব পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ০৬, ২০২৪ ০৯:৫১ Asia/Dhaka
  • ইরানের হামলা ঠেকাতে ন্যাটোর ২৪০ যুদ্ধবিমান মরিয়া প্রচেষ্টা চালায়: কমান্ডার

গতমাসে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইরানের চালানো পাল্টা হামলা ঠেকাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের ২৪০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার। তিনি বলেছেন, ইরানের হামলা ঠেকাতে গিয়ে এসব পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র মধ্যাঞ্চলীয় খতামুল আম্বিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম-আলী রাশিদ এ মন্তব্য করেন। তিনি ফার্সি দৈনিক ‘ইরান’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তার দেশের ইসরাইলবিরোধী পাল্টা হামলার কিছু নতুন দিক তুলে ধরেন।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইহুদিবাদী ইসরাইল ১ এপ্রিল যে বিমান হামলা চালিয়েছিল ১৩ এপ্রিল তার জবাব দেয় তেহরান। ইসরাইলের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান যা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।

জেনারেল রাশিদ বলেন, ইরানের ওই হামলার ফলে ইহুদিবাদী সরকারের স্বঘোষিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সেইসঙ্গে আমেরিকা এসে তাকে নিরাপত্তা দেবে বলে তেল আবিবের যে বদ্ধমূল ধারনা রয়েছে তাও ব্যর্থ প্রমাণিত হয়।

ইরানের এই সেনা কমান্ডার বলেন, ন্যাটোর মূল শক্তি আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পাশাপাশি কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ সেদিন ইরানের হামলা প্রতিহত করতে তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। ইসরাইলকে রক্ষা করতে সেদিন কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল।

জেনারেল রাশিদ বলেন, “কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরানের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি নাভাতিম ও শালাখিমে আঘাত হানে।” ওই আঘাতের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রকাশ করার সাহস করেনি- জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সেন্টকম যদি সে রাতে ইসরাইলকে রক্ষা করতে এগিয়ে না আসত তাহলে ইরানের নিক্ষিপ্ত শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইহুদিবাদীদের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানত।

জেনারেল রাশিদ বলেন, ইরানের একটিমাত্র সামরিক ইউনিটের মোট সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহার করে সে রাতের হামলা চালানো হয়েছিল। যদি ওই ইউনিটের বাকি ৮০ ভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করা হতো তাহলে এতসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্ত্বেও ইসরাইল তছনছ হয়ে যেত বলে তিনি মন্তব্য করেন। #

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/৬