এক নজরে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রদর্শিত ক্ষেপণাস্ত্র
(last modified Mon, 23 Sep 2024 14:27:27 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ ২০:২৭ Asia/Dhaka
  • এক নজরে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রদর্শিত ক্ষেপণাস্ত্র

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং একই সময়ে যখন পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উদযাপন চলছে তখন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান ইউনিট দর্শনার্থীদের জন্য কয়েক ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষা ও সামরিক শক্তির একটি অংশকে চিত্রিত করেছে। পার্সটুডে অনুযায়ী, ফাত্তাহ, খাইবারশাকান, হজ কাসিম, কদর, এমাদ, খোররামশাহর, সাজিল এবং জিহাদ ক্ষেপণাস্ত্র- এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজের সময় প্রদর্শিত হয়েছে

১. ফাত্তাহ: 

ফাত্তাহ-২ ইরানের তৈরি হাইপারসনিক মিসাইলের একটি নতুন সংস্করণ। এটি হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল (এইচজিভি) এবং হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (এইচসিএম) সমন্বয়ে তৈরি। ভবিষ্যতে এর আরও সংস্করণ তৈরি হবে বলে ধারণা। ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটির পরিসীমা ১৪০০ কিলোমিটার। এটির ডিজাইন এমনভাবে করা যে, সহজেই এর শনাক্ত করা সম্ভব না। ফলে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দিয়েই আঘাত হানতে সক্ষম।

ফাত্তাহ

২. খাইবার শেকন ক্ষেপণাস্ত্র

মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র খাইবার শেকনের পরিচালনায় রয়েছে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোরের অ্যারোস্পেস। ২০২২ সালে এটি উন্মোচন করা হয়। এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। এর পরিসীমা ১৪০০ কিলোমিটার। খাইবার শেকনকে নতুন প্রজন্মের এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের রূপান্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাইবার শেকান ক্ষেপণাস্ত্রের আলাদা বিস্তৃত লঞ্চার ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে। এর জন্য ব্যবহৃত লঞ্চারটি ছদ্মবেশ ধারণ করে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দিতে পারে।

খাইবার শেকন

৩. হজ কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে এটি ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে রয়েছে। হজ কাসেম ইরানের তৈরি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর রেঞ্জ ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার। 

হজ কাসেম ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ফতেহ-১১০ এর নতুন প্রজন্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে গিয়ে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এটির। এটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায় না, ফলে শত্রুর চোখ ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সক্ষম। 

৪. কদর ক্ষেপণাস্ত্র

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের দ্রুততম ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি প্রায় ৬ ম্যাক স্কেলের গতিতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। অর্থ্যাৎ এর গতি ঘন্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি। 

কদর ক্ষেপণাস্ত্র

৫. ইমাদ ক্ষেপণাস্ত্র:

এটি একটি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যার বিস্ফোরণের মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দেশিত থাকে এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। ইমাদের পাল্লা প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার। 

৬- খোররামশহর ক্ষেপণাস্ত্র

এটি একটি তরল জ্বালানী ক্ষেপণাস্ত্র যার পাল্লা ২০০০ কিমি এবং এটি ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড ক্ষমতা বহনে সক্ষম।  

খোররামশহর ক্ষেপণাস্ত্র

 

পার্সটুডে/এমবিএ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।