'ইসরাইলের শক্তিমত্তা বা দাপটের মিথ্যা ভাবমূর্তি গাজার বালুচরে চিরতরে সমাধিস্থ'
(last modified Sat, 18 Jan 2025 12:19:55 GMT )
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ ১৮:১৯ Asia/Dhaka
  •  'ইসরাইলের শক্তিমত্তা বা দাপটের মিথ্যা ভাবমূর্তি গাজার বালুচরে চিরতরে সমাধিস্থ'

পার্স-টুডে-সামাজিক গণমাধ্যম এক্স তথা সাবেক টুইটারে ইরানি ব্যবহারকারী বা ইউজাররা গাজার যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।

গাজার যুদ্ধ-বিরতির আলোচনায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাতার গত ১৫ জানুয়ারি বুধবার যুদ্ধ-বিরতির বিষয়ে একটি সমঝোতা বা চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কথা জানিয়েছে। ওই চুক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে সমঝোতা হয়। এই সমঝোতার ফলে গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি গণহত্যা অভিযানের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহীদ (ব্রিটেনের ল্যান্সেট সাময়িকীসহ কোনো কোনো সূত্র মতে অন্তত: ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ) ও এক লাখেরও বেশি আহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের মধ্যে আনন্দ ও খুশির  জোয়ার বয়ে যায়। এখানে সামাজিক গণমাধ্যম এক্স তথা সাবেক টুইটারে ইরানি ব্যবহারকারী বা ইউজাররা গাজার যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তারই কয়েকটি নির্বাচিত অংশ তুলে ধরছি।

গোলিজানাম  (Golijanam) নামের একজন গাজার জনগণের আনন্দ প্রকাশের একটি ভিডিও তুলে ধরে লিখেছেন, গাজায়  ফিলিস্তিনি জনগণ যুদ্ধবিরতির কথা শুনে খুশিতে ঘরে ফিরছিলেন এবং তারা ইয়েমেনকে অবিচল প্রতিরোধের জন্য ধন্যবাদ জানায় আনন্দ-চিত্তে, আপনি তাদের চেহারায় বিজয়ের আনন্দ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না।

ফাতেমেহ বানু নামের আরেকজন ব্যবহারকারী এক্স সামাজিক মাধ্যমে গাজার জনগণের বিজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন: নেতানিয়াহুর দু'টি পরাজয়ের নাম বলুন: হামাসের টিকে থাকা ও গাজায় যুদ্ধ-বিরতি।

মাহবুবেহ সা'দাত নামের আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন: হামাসও নির্মূল হয়নি ও গাজাও নতজানু হয়নি, কোনো বন্দিও সামরিক অভিযানে মুক্ত হয়নি। যুদ্ধ-বিরতির বিষয়ে হামাসের শর্তগুলো মেনে নিতে ইহুদিবাদীরা বাধ্য হওয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের শক্তিমত্তা বা দাপটের মিথ্যা ইমেজ বা ভাবমূর্তি গাজার বালুচরে চিরতরে হয়েছে সমাধিস্থ।   #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।