আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি প্রেম কোন সীমা মানে না
(last modified Sun, 26 Jan 2025 13:35:07 GMT )
জানুয়ারি ২৬, ২০২৫ ১৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • পাকিস্তানের সুন্নি সঙ্গীত গোষ্ঠী \\\'সাবেরি ব্রাদার্স\\\'
    পাকিস্তানের সুন্নি সঙ্গীত গোষ্ঠী \\\'সাবেরি ব্রাদার্স\\\'

পার্সটুডে-ইরানের সংসদ মাজলিসে শুরায়ে ইসলামির স্পিকার বলেছেন: ইরান সবসময় জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে এই দেশটি একমাত্র দেশ যে দেশ মাজহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানকে সমর্থন করে এবং এই পথে হাজার হাজার শহীদকে উৎসর্গ করেছে।

মুসলমানদের সমর্থনে ইরানের ভূমিকা সম্পর্কে ইরানের সংসদ মাজলিসে শুরায়ে ইসলামির স্পিকারের বক্তব্য, সুন্নি আলেমদের সভায় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ, ইরানে পাকিস্তানি সুন্নি সঙ্গীত দলের উপস্থিতি, 'কুদসিয়ান' কবিতা সম্মেলন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন এবং পশ্চিম আজারবাইজানে সুন্নি আলেমদের সংগ্রামের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণের সূচনা ইত্যাদি পার্সটুডে'র এই নিবন্ধের আলোচ্য বিষয়।

 

ইরান সবসময় বিশ্ব মুসলিমের পক্ষে জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে: কলিবফ

স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কলিবফ সম্প্রতি ইথিওপিয়া সফর করেছেন। সংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই সফরকালে তিনি সেদেশের সংসদ স্পিকার শেখ ইব্রাহিম তুফার সাথে দেখা করেছেন। ওই সাক্ষাতে তিনি বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সেইসঙ্গে তিনি ইরানের সরকার কাঠামোতে সুন্নিদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন: মজলিসে শুরায় বর্তমানে ২৬ জন সুন্নি প্রতিনিধি রয়েছেন। ইরান সবসময় জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং প্রমাণ করেছে ইরান একমাত্র দেশ যে দেশ মাজহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানকে সমর্থন করে। কলিবফ বলেন: নিঃসন্দেহে, যদি ইসলামী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আমেরিকার শত্রুতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, অবশ্যই বিজয়ী হবে। এই বৈঠকে ইব্রাহিম তুফাও ইথিওপিয়ার মুসলমানদের অবস্থার উন্নতি সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের সমর্থনে ইরানের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন: আমরা ইরানকে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করি। ইরানকে তিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের হৃদয় বলে উল্লেখ করেন।

 

সুন্নি আলেমদের সভায় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ

শনিবার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ওমরাহ কাফেলার একদল সুন্নি আলেম ও চিন্তাবিদ এবং মদিনায় ইসলামী বিপ্লবের নেতার প্রতিনিধির কার্যালয়ের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম নাজাফি রুহানির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মুসলমানদের ঐক্যের গুরুত্ব এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সত্য প্রকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মুসলিম ঐক্য হয়েছিল। ওই বৈঠকে চলতি সফরে সুন্নি আলেমদের সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।

 

ইরানে পাকিস্তানি সুন্নি সঙ্গীত দলের উপস্থিতি; আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসার কোন সীমা নেই

পাকিস্তানের সুন্নি সঙ্গীত গোষ্ঠী 'সাবেরি ব্রাদার্স' প্রথমবারের মতো ইরান ভ্রমণে আসেন। তারা ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার একটি টিভি চ্যানেলে 'ফ্যামিলি টাইম' নামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গান পরিবেশন করেন। কাওয়ালি সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি তারা ইমাম আলী (আ.) এবং আহলে বাইতের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা এবং ভক্তিও প্রকাশ করে। এই সঙ্গীত দলের নেতা আফজাল সাবেরি অনুষ্ঠানের অবকাশে বলেন: ইসলামের প্রিয় নবীর উত্তরসূরী ইমাম আলী (আ.)-কে চেনার অর্থ হলো মানুষের ভেতরের প্রকৃত সত্য আবিষ্কার করা। তিনি আরও বলেন: এই সঙ্গীত দল মূলত কাওয়ালি শিল্পের মাধ্যমে আহলে বাইত (আ.)-এর প্রশংসামূলক কবিতা পাঠ করে, যে কবিতা শ্রোতাদের কাছে গভীর মানবিক বার্তা পৌঁছে দেয়।

 

'কুদসিয়ন' কবিতা সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

সুন্নি কবিদের জন্য 'কুদসিয়ন' কবিতা কংগ্রেসের সংবাদ সম্মেলন আগামিকাল (রবিবার) তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে অবস্থিত ইসলামিক প্রচার সংস্থার কেন্দ্রীয় ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামি প্রচার সংস্থার প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন কোমি, শিল্প বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মেহেদী দাদমান, শিল্প বিভাগের প্রাদেশিক উপ-পরিচালক সাইদ লস্করী এবং ইরানি সংস্কৃতি ও শিল্প জগতের আরও অনেক শিল্পী ও অধ্যাপক ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। কুদসিয়ান কবিতা কংগ্রেস প্রথম কোনো কংগ্রেস যা সুন্নি কবিদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে

 

পশ্চিম আজারবাইজানের আহলে সুন্নাতের আলেমদের সংগ্রামের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণকাজ শুরু

ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের ইসলামি সেন্টারের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সায়িদ আজাদ মুসাভি, এই প্রদেশে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শত্রুদের মোকাবেলায় সুন্নি আলেমদের ত্যাগ ও নিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন: তিনটি যুগের ওই সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে একটি মৌখিক তথ্যচিত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিপ্লব-পূর্ব যুগ, যুদ্ধের যুগ এবং দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যুগ-এই তিন কাল-পর্ব ইসলামি সেন্টরের প্রামাণ্যচিত্রের এজেন্ডায় রয়েছে। তিনি এই প্রদেশের 'ফাজর দশকের' সদর দপ্তরের ইসলামি মাজহাবগুলোর সান্নিধ্য কমিটির পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। তার ব্যাখ্যার মধ্যে রয়েছে তেহরানে সুন্নি জুমার নামাজের বিশিষ্ট ইমামদের একটি সমাবেশ আয়োজন এবং পশ্চিম আজারবাইজান থেকে ১৮ জন জুমার নামাজের ইমামকে এই সমাবেশে পাঠানো। তিনি আরও বলেন: বিপ্লবের দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য হল একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন এবং ইসলামী সমাজে সুন্নিদের অবস্থান স্পষ্ট করা। এটা ইসলামী মাজহাবগুলোর নৈকট্য কমিটির কৌশলগত পরিকল্পনাগুলোর একটি বলে তিনি উল্লেখ করেন।#

পার্সটুডে/এনএম/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।