চীনে 'মায়াবী ভূমি' প্রদর্শনী; ইরানের পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার জানালা
-
চীনে \'মায়াবী ভূমি\' প্রদর্শনী; ইরানের পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার জানালা
পার্সটুডে-চীনের গুয়াংজু সিটি মিউজিয়ামে শুরু হলো ইরানের শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পদের একটি প্রদর্শনী।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজু সিটি মিউজিয়ামে ইরানি জাদুঘরের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার থেকে ১৫১টি ঐতিহাসিক নিদর্শন 'মায়াবী ভূমি' শীর্ষক ওই মেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই প্রদর্শনী মেলা এমন এক সাংস্কৃতিক আয়োজন যেখানে হাজার হাজার চীনা দর্শনার্থীর কাছে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো ইরানি সভ্যতার জাঁকজমক, সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধির প্রতিচ্ছবি উন্মোচিত হয়েছে। পার্সটুডে আরও জানায়, ওই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হল ইরানি সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকের সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং সিল্ক রোডের মাধ্যমে গড়ে ওঠা দুই জাতির ঐতিহাসিক বন্ধন আরও জোরদার করা।
জুনের শেষ পর্যন্ত ইরানি শিল্প ও স্থাপত্যের নিদর্শনসমৃদ্ধ উন্মুক্ত ওই প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীর প্রবেশপথটি গোলেস্তান প্রাসাদের টাইলসের কারুকাজের মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে এবং মূল হলটি শিরাজের নাসির আল-মোলক মসজিদের জ্যামিতিক নকশা এবং রঙিন কাঁচ ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে। এই আয়োজন একটি আধ্যাত্মিক এবং শৈল্পিক পরিবেশ তৈরি করে যা দর্শনার্থীদের ইরানি সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
প্রদর্শনীর একটি বিশেষ অংশে, গুয়াংজু সিটি মিউজিয়াম, তাদের কালেকশানে থাকা শিল্পকর্ম ব্যবহার করে, ইরানি এবং চীনা শিল্পকর্মের একটি শৈল্পিক সমন্বয় প্রদর্শন করেছে। সিরামিক গ্লেজিং, ফুল ও পাখির নকশা এবং অন্যান্য শৈল্পিক অভিব্যক্তির মতো বিষয়গুলোতে কেন্দ্রীভূত ওই যৌথ স্থাপনাটি ইরান ও চীনের মধ্যে রুচির মিল এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটায়।
'মায়াবী ভূমি' প্রদর্শনীটি চীনা দর্শনার্থীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং প্রশংসিত হয়েছে। তাদের অনেকেই ইরানের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির প্রশংসা করার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যতে ইরানের মূল্যবান ঐতিহ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
একইভাবে চেংডুর সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে পূর্বে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতেও ইরানি প্রাচীন শিল্পকর্ম ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পাশাপাশি, ঐতিহ্যবাহী ইরানি সঙ্গীতের সরাসরি পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রদর্শন এবং জনসাধারণের জন্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের মতো নানা আয়োজন চীনা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল।
'মায়াবি ভূমি' প্রদর্শনী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি। ওই প্রতিবেদনে ইরানি কাজের ঐশ্বর্য এবং সংগ্রহের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রশংসা করা হয়েছে। প্রদর্শনীটিকে দুটি প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সেতু হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে।
চায়না ডেইলি এবং সাউথ চায়না নিউজ এজেন্সিও প্রদর্শনীর ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমে ইরান ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার বিবরণও দেওয়া হয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।