সেব্রেনিৎসা ট্র্যাজেডিরই ধারাবাহিকতা গাজা ট্র্যাজেডি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i150358-সেব্রেনিৎসা_ট্র্যাজেডিরই_ধারাবাহিকতা_গাজা_ট্র্যাজেডি
পার্সটুডে- ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বলেছেন, যদি বিশ্ব সত্যিই এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নিত, তাহলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি গণহত্যা অর্থাৎ গাজায় গণহত্যা দেখতে হতো না।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ১২, ২০২৫ ১৭:৫৫ Asia/Dhaka
  • পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি

পার্সটুডে- ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বলেছেন, যদি বিশ্ব সত্যিই এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নিত, তাহলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি গণহত্যা অর্থাৎ গাজায় গণহত্যা দেখতে হতো না।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ছোট্ট বার্তা থেকে এটা স্পষ্ট, ইতিহাস লিখতে গিয়ে যেমন পক্ষপাতিত্ব করা হয় তেমনি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও কার্পণ্য করা হয়।

১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই বসনিয়ায় সার্বদের নৃশংসতা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে  সেব্রেনিৎসা শহরটিকে মুসলমানদের জন্য "নিরাপদ এলাকা" হিসেবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও সেদিন সার্ব বাহিনী ৮ হাজারের বেশি মুসলিম পুরুষ ও কিশোরকে হত্যা করে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা এই গণহত্যা শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখেছে, তা থামাতে কিছুই করেনি। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এই গণহত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি আগে থেকে জানতে পেরেছিল, কিন্তু তারা এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়নি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি বলেন, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছিল বা চুপ ছিল, তাদের জন্য এটি লজ্জার দিন।

আজ গাজায় যেটা ঘটছে, সেটা সেব্রেনিৎসার মতোই আরেকটি মানবিক বিপর্যয়।  শিশুদের ক্ষুধার্ত রাখা, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, মানুষকে জোর করে ঘরছাড়া করা, সাধারণ মানুষের ওপর হামলা — এসবই গণহত্যার চিহ্ন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

গাজা গণহত্যা প্রমাণ করে- মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা এখন আর মানবতা, ন্যায়বিচার বা বেসামরিক মানুষের জীবনরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না।

সেব্রেনিৎসা গণহত্যা তথা বসনিয়া যুদ্ধের পর বিশ্বে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব বিবেকের ললাটে সৃষ্ট এই মহাক্ষতের কথাও ভুলে গেছে গোটা বিশ্ব। সেই গণহত্যার সঠিক বিচার না হওয়ায় আজ গাজায় এই দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে। জনগণ সোচ্চার থাকলেও রাষ্ট্রনেতাদের বিবেক যেন মরে গেছে। কোনো কোনো দেশের সরকার গাজার মানুষের জন্য সহানুভূতি দেখানোরও অনুমতি দিচ্ছে না।

স্রেব্রেনিৎসা ছিল বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তার প্রতীক, আর এখন গাজা হয়ে উঠছে গণহত্যায় বিশ্বের সরকারগুলোর সক্রিয় সহযোগিতার প্রতীক।#

পার্সটুডে/এসএ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।