ইরান-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার শীর্ষে রয়েছে জ্বালানি
-
জাফরবান্দি শারাবিয়ানি, তেহরানের ইসলামিক কাউন্সিলের প্রেসিডিয়াম সদস্য
পার্সটুডে-তেহরানের ইসলামিক কাউন্সিলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফরবান্দি শারাবিয়ানি ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
জাফরবান্দি শারাবিয়ানি, ইরানি প্রতিনিধিদলের মস্কো সফরের সময় টিভি ব্রিকস (BRICS)-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহযোগিতা, ব্রিকসভুক্ত কিংবা দ্বিপাক্ষিক যেভাবেই হোক এই দুটি দেশ একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে।
গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ইরান ও রাশিয়ার প্রযুক্তি, অর্থনীতি, অর্থ এবং নগর ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করে শারাবিয়ানি জোর দিয়ে বলেন, জ্বালানি সাধারণ অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে।
তিনি বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে এই সহযোগিতার একটি স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এই প্রকল্পটি আধুনিকভাবে গঠন করা হচ্ছে। শারাবিয়ানি আশা প্রকাশ করেন যে, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শীঘ্রই সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে।
ইরান এবং পশ্চিম এশিয়ার প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বুশেহর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ১৯৭৫ সালে শুরু হয়। দীর্ঘ বিরতির পর, ইরান এবং রাশিয়া ১৯৯২ সালে প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়। ২০১১ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয় এবং রোসাটম এখন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ইউনিট নির্মাণ করছে।
রোসাটমের মতে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান এবং রাশিয়া ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এছাড়াও অক্টোবরে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি ঘোষণা করেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তিনি আশা করেন যে শীঘ্রই একটি চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে।#
পার্সটুডে/জিএআর/৩