বহির্শক্তির স্থান নেই, প্রতিবেশীরা মিলে কাস্পিয়ান সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব: ইরানের সেনাবাহিনী
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i154546-বহির্শক্তির_স্থান_নেই_প্রতিবেশীরা_মিলে_কাস্পিয়ান_সাগরের_নিরাপত্তা_নিশ্চিত_করব_ইরানের_সেনাবাহিনী
পার্সটুডে- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি বলেছেন- কাস্পিয়ান সাগরের নিরাপত্তা অবশ্যই সাগর উপকূলবর্তী দেশগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যেখানে বাইরের শক্তির কোনো উপস্থিতি থাকবে না।
(last modified 2025-11-30T13:57:37+00:00 )
নভেম্বর ২৯, ২০২৫ ২০:২৪ Asia/Dhaka
  • হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি
    হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি

পার্সটুডে- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি বলেছেন- কাস্পিয়ান সাগরের নিরাপত্তা অবশ্যই সাগর উপকূলবর্তী দেশগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যেখানে বাইরের শক্তির কোনো উপস্থিতি থাকবে না।

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি আজ শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- কাস্পিয়ান সাগর হলো “শান্তি ও বন্ধুত্বের সাগর”। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাস্পিয়ান উপকূলীয় পাঁচ দেশের (ইরান, রাশিয়া, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাখস্তান) পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিদেশি শক্তির উপস্থিতি রোধ করতে হবে।

রিয়ার অ্যাডমিরাল সাইয়্যারি আরও বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কাস্পিয়ান সাগর এবং দেশের অন্যান্য পানিসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া তিনি ইরানের নৌবাহিনীর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরাকের সাদ্দামের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই ইরান পারস্য উপসাগরে বিশেষকরে এর উত্তরাংশে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে এবং আজও তা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি ঐ যুদ্ধের সময় বাণিজ্যিক জাহাজের বহর এসকর্ট করার অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুদ্ধ চলাকালে ১৫০টিরও বেশি এসকর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং প্রায় ১০ হাজার বাণিজ্যিক জাহাজ ও তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। ওই সময় এসব জাহাজের দিকে এক হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলেও মাত্র ২০০টি আঘাত হানে—যা বিশ্বের নৌ-অভিযানের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড।

তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে জামারান, দমাভান্দ, সাহান্দ, জাগরোস এবং তাফতানসহ উন্নত ডেস্ট্রয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে এবং দেশে হালকা, মাঝারি ও ভারী সাবমেরিনের উৎপাদন লাইন চালু করা হয়েছে।

হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বলেন, বর্তমানে নৌবাহিনীর সকল সরঞ্জামই ইরানে তৈরি হচ্ছে। স্মার্ট মিসাইল, উন্নত ড্রোন এবং ডেস্ট্রয়ারগুলো ইরানের তরুণ বিশেষজ্ঞরাই তৈরি করছে।#

পার্সটুডে/এসএ/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।