ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এলাকা বেলারুশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i154926-ইরানের_দক্ষিণাঞ্চলীয়_বন্দর_এলাকা_বেলারুশের_কাছে_হস্তান্তরের_প্রস্তুতি
পার্সটুডে-ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, দক্ষিণ বন্দর এলাকা বেলারুশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।
(last modified 2025-12-10T06:58:10+00:00 )
ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫ ১৭:৫৬ Asia/Dhaka
  • বেলারুশ-ইরান প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
    বেলারুশ-ইরান প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

পার্সটুডে-ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, দক্ষিণ বন্দর এলাকা বেলারুশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন: ইরানে বেলারুশ নৌবহরের চলাচলে কোনও বাধা নেই।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফারজানা সাদেক, বেলারুশের শিল্পমন্ত্রী আন্দ্রে কোজিৎসভের সাথে এক বৈঠকে, সেদেশের সাথে পরিবহন ও সরবরাহ সহযোগিতা বিকাশের জন্য ইরানের পূর্ণ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন: ইরান এবং রাশিয়া উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সদস্য হওয়ায়, ইরানের দক্ষিণ বন্দর এবং তেহরানের উপকণ্ঠে অবস্থিত আপ্রিন স্থল বন্দর এলাকা বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত।

সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী বলেন ইরানে বেলারুশ নৌবহরের চলাচলে কোনও বাধা নেই তিনি আরও বলেন: রেলপথ খাতে আশা করা হচ্ছে, ইরানের রেলপথের নিরাপত্তার কারণে চীন, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান থেকে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পেয়েছে, বেলারুশ থেকে মালবাহী রেল পরিবহন যথারীতি অব্যাহত থাকবে এবং সম্প্রসারিত হবে।

এছাড়াও এই বৈঠকে, বেলারুশের শিল্পমন্ত্রী, ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রস্তাবের সাথে একমত হয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিবহন কার্যক্রম উন্নয়নের সমাধান খুঁজে বের করাই এই বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।

 

গিলান রুটে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ; রেল উন্নয়ন থেকে পণ্য বিনিময়

গিলান প্রাদেশিক গভর্নরেটের উপ-অর্থনৈতিক পরিচালক রেল উন্নয়ন এবং পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বিকাশের উপর জোর দিয়েছেন।

উত্তর ইরানের গিলান গভর্নরেটের অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন বিষয়ক উপ-সমন্বয়কারী সাইয়্যেদ আল্লাহিয়র মেসবাহি, রাশিয়ার উরিয়নফাস্কের গভর্নরের উপদেষ্টার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইরান-রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রদেশের কৌশলগত সক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন। সেইসাথে পরিবহন অবকাঠামোর সমাপ্তি ত্বরান্বিত করা এবং বেসরকারি খাতের ভূমিকা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।

অপরদিকে, মেসবাহি রাশত-আস্তারা রেলপথ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন: অবশিষ্ট ১৬০ কিলোমিটার রুটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটারের মতো ক্রয় করা হয়েছে এবং আমরা আশা করি চলতি বছরের শেষ নাগাদ পুরো রুটটি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। রাশিয়ার কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে, এই রুটের বাস্তবায়ন আগামী বছরের শুরুতে শুরু হবে এবং সম্পন্ন হলে এর পরিবহন ক্ষমতা ৬০ বিলিয়ন ডলারের মতো অনুমান করা হচ্ছে।

গিলান গভর্নরেটের অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন বিষয়ক উপ-সমন্বয়কারী, সম্মিলিত পরিবহনে প্রদেশের বন্দরগুলোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন: উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের মূল পয়েন্ট হিসাবে ক্যাস্পিয়ান, আনজালি এবং আস্তারা-এই তিনটি বন্দর সম্মিলিতভাবে পরিবহন পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতা রাখে। এই পরিবহন মডেলটি বর্তমানে ক্যাস্পিয়ান বন্দরে সক্রিয় রয়েছে এবং আস্তারা বন্দরের অবকাঠামো সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে, এই অঞ্চলটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হাব হয়ে উঠবে।#

পার্সটুডে/এনএম/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন