ইরাক থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহার ‘ইতিবাচক’ পদক্ষেপ: ইরান
ইরাক থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তুরস্ক সেনা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর বেলায়েতি এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, “আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সব ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে তেহরান স্বাগত জানায়। ”
বেলায়েতি আরো বলেন, ইরান এক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরেকটি দেশের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী। তিনি তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনারও অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান। বেলায়েতি বলেন, এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখলে তাতে দামেস্ক বা আঙ্কারা উপকার হবে না।
শনিবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের অপ্রত্যাশিত বাগদাদ সফরে ইরাক থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। ইলদিরিমের সঙ্গে বৈঠকের পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি জানান, তার দেশের উত্তরাঞ্চলীয় একটি ঘাঁটি থেকে তুর্কি সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার একটি সমঝোতা হয়েছে।
এবাদি বলেন, তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদল বিষয়টির সন্তোষজনক পরিসমাপ্তি টানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভিতে এ সংক্রান্ত খবরে এর বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। ইরাকে তুরস্কের ঠিক কতো সেনা আছে এবং তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করা হবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় বাশিকা সেনাঘাঁটিতে গত বছর প্রায় ৫০০ সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। বাশিকার নিকটবর্তী মসুল শহর নিয়ন্ত্রণকারী দায়েশ জঙ্গিরা যাতে সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কে হামলা করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এসব সেনাকে ইরাকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করে আঙ্কারা।
তখন থেকে বাগদাদ বহুবার এসব সেনা প্রত্যাহারের জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানায়। বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর বাগদাদ সফরের মাধ্যমে সে উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে তুর্কি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় ইরাক ও তুরস্কের সম্পর্কে আবার উষ্ণতা ফিরে আসবে বলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৮