মরক্কোর অভিযোগ নাকচ করল ইরান
(last modified Wed, 02 May 2018 12:04:25 GMT )
মে ০২, ২০১৮ ১৮:০৪ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি
    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো যে অভিযোগ তুলেছে তা জোরালো ভাষায় নাকচ করেছে তেহরান। মরক্কো বলেছে, পশ্চিম সাহারায় তৎপর বিচ্ছিন্নতাবাদী পলিসারিও ফ্রন্টের সঙ্গে আলজেরিয়ায় ইরানি দূতাবাসের যোগাযোগ রয়েছে।

অভিযোগের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি আজ (বুধবার) বলেছেন, আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও’র সঙ্গে ইরানি দূতাবাসের কোনো সহযোগিতা নেই। গতকাল মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বুরিতা অভিযোগ করেছিলেন, তেহরান এবং লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ পলিসারিও সদস্যদেরকে আলজেরিয়ায় ইরানি দূতাবাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিচ্ছে। এ অভিযোগে মরক্কো ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।  

মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বুরিতা

অভিযোগ সম্পর্কে বাহরাম কাসেমি বলেন, মরক্কোর এ অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন, ভুল এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। তিনি বলেন, “আমরা আবারো পরিষ্কার করে বলছি যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক নীতি হচ্ছে- সার্বভৌমত্ব ও  নিরাপত্তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখা এবং কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।”  হিজবুল্লাহ আন্দোলনও রাবাতের অভিযোগ নাকচ করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে- আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইলের চাপে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মরক্কো।

১৯৭৫ সালে পশ্চিম সাহারাকে নিজের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেয় মরক্কো এবং দক্ষিণ প্রদেশ হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু  ওই অঞ্চলে তৎপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পলিসারিও ফ্রন্ট আত্ন-নিয়ন্ত্রণাধিকারের জন্য সেখানে গণভোট দাবি করে আসছে।#

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২