তুরস্ক-ইরান ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি: তেহরান
(last modified Sun, 04 Nov 2018 04:23:48 GMT )
নভেম্বর ০৪, ২০১৮ ১০:২৩ Asia/Dhaka
  • তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ইরান এয়ারের একটি বিমান (ফাইল ছবি)
    তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ইরান এয়ারের একটি বিমান (ফাইল ছবি)

তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে জ্বালানী না দেয়ার কারণে ইরানের বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে কিছু গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- সিএও বলেছে, দু’দেশের মধ্যে বিমান চলাচলে কোনোরকম বিঘ্ন ঘটেনি।

সিএও’র মুখপাত্র রেজা জাফারজাদে আইআরআইবি’কে বলেছেন, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে বর্তমানে সপ্তাহে প্রায় ১০০টি ফ্লাইট পরিচালিত হয় এবং দু’দেশের বিমানবন্দরগুলো পরস্পরের সব বিমানকে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে চলাচলকারী ফ্লাইটের এই বিশাল সংখ্যা দু’দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। এ অবস্থায় এ ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটতেই পারে না।

ইরানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাহান এয়ারের একটি বোয়িং-৭৪৭ বিমান (ফাইল ছবি)

তুরস্কের কোনো কোনো গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার খবর দিয়েছিল, ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে কয়েকটি ইরানি বিমানকে জ্বালানী দিতে অস্বীকার করে সেখানকার তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর ফলে অন্তত একটি ফ্লাইটের ভ্রমণ বাতিল করতে হয় এবং আরো কয়েকটি বিমান কম জ্বালানী নিয়ে আকাশে উড়াল দেয়ার স্বার্থে তাদের যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে নেয়।

এ ছাড়া, তুরস্কের বেসরকারি বার্তা সংস্থা দেমিরোরেন দাবি করে, দেশটির জ্বালানী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘পেট্রল ওফিসি’ বিমানবন্দরে ইরানি বিমানগুলোতে তেল দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

বিদেশি বার্তা সংস্থাগুলো এমন সময় এ খবর দিল যখন আগামীকাল ৫ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল খাতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার কথা রয়েছে। তেহরান ও ইস্তাম্বুলের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনাকারী ইরানি বিমান সংস্থাগুলো হচ্ছে ‘মাহান এয়ার’, ‘এটিএ এয়ারলাইন্স’, ‘কেশ্‌ম এয়ারলাইন্স’ এবং ‘ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স’। #

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৪

ট্যাগ