ইরানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; নিরাপদ আশ্রয়ে লাখ লাখ মানুষ
ইরানের অন্তত ২৩টি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে লোরেস্তান প্রদেশের খোররামাবাদের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
সেখানকার বিমান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের প্রায় দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। শহরের দু'টি নদীর আশেপাশের বাড়ীগুলোকে এরইমধ্যে খালি করে ফেলা হয়েছে।
আজ ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি খোররামাবাদ শহর সফর করেছেন। সেখান থেকে বিমানে করে তার ইলাম প্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাকে বহনকারী বিমান আকাশে উড়তে পারে নি।
লোরেস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী তেহরানের রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে বিমানের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
রাজধানী তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহযাদে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে পাঁচজন আহত হয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে তেহরানবাসীর প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বন্যা কবলিতদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব সরকারের। তার সরকার এ দায়িত্ব পালন করবে।
ইরানের বিভিন্ন এলাকায় গত ১৯ মার্চ থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন মারা গেছে।#
পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/১