ইরানের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ চালাচ্ছে আমেরিকা: জারিফ
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণকাজ ব্যাহত হওয়ায় আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ শুরু করেছে।
তিনি এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ইরানে নজিরবিহীন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিকে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি হেলিপ্টারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানি করতে পারছে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটার বার্তায় আরো লিখেছেন, “এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক যুদ্ধ নয়; এটি অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নেন এবং একই বছরের নভেম্বরে তেহরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
জারিফ তার বার্তায় আরো লিখেছেন, ওয়াশিংটন তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় লঙ্ঘন করেছে।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের যে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয় একই মাসে নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে সেটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয় যা সব দেশ মেনে চলতে বাধ্য।
এদিকে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইরানের ওপর থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য আমেরিকার প্রতি নির্দেশ দেয়। কিন্তু মার্কিন সরকার এসব আন্তর্জাতিক আইন বা রায়ের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না।
গত ১৯ মার্চ থেকে ইরানে শুরু হওয়া ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/আশরাফুর রহমান/২