ইরানে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি: খালি করা হলো আরো বহু এলাকা
ইরানে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আরো বহু শহর ও গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বড় নদী ও বাঁধগুলো উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজিস্তান প্রদেশের অন্তত ছয়টি শহর ও ১০০’র বেশি গ্রাম থেকে সকল অধিবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পানির চাপে সেখানকার ‘কারখে’ বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এর সবগুলো নির্গমন গেট খুলে দেয়া হলে খুজিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এই বাঁধটিতে ৫৯০ কোটি কিউসিক মিটার পানির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এবং প্রবল বর্ষণের ফলে সে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পানি বাঁধটিতে জমা হয়েছে।
‘দেজ’ ও ‘কারুন’সহ খুজিস্তান প্রদেশের আরো কয়েকটি বাঁধের অবস্থাও একইরকম এবং সেসব বাঁধ ভেঙে পড়লে বা সেগুলোর বহির্গমন গেটখুলো খুলে দিতে বাধ্য হলে আরো বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। কারুন, দেজ ও কারখে বাঁধের নিম্নবর্তী এলাকাগুলোর অধিবাসীদের এরইমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইরানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, খুজিস্তান প্রদেশে আগামী কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। ফলে ৫০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রদেশটির প্রায় চার লাখ মানুষের বন্যার পানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রেজা রহমানি ফাজলি বলেছেন, খুজিস্তানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পার্শ্ববর্তী পাঁচ প্রদেশের ত্রাণ ও উদ্ধার কর্মীদের প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বলেছেন, খুজিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি প্রদেশের গভর্নরের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
ইরানে গত তিন সপ্তাহের বন্যায় অন্তত ৭০ ব্যক্তি নিহত ও ২৫, ০০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/মো.আবুসাঈদ/৭