আইএইএ’র নারী পরিদর্শক ইরানে ‘শিল্প নাশকতা’ চালিয়েছেন: ইরান
গতমাসে ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সময় আইএইএ’র একজন পরিদর্শকের পক্ষ থেকে ‘সন্দেহজনক’ পদার্থ বহন করার ঘটনাকে ‘শিল্প নাশকতা’ বলে উল্লেখ করেছে তেহরান। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বার্তা সংস্থা ওয়াইজেসি’কে সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশের সময় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র পরিদর্শকদের দেহ তল্লাশি করার যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার প্রচলন সব দেশে রয়েছে। এ ধরনের তল্লাশির সময় একজন নারী পরিদর্শকের দেহে সন্দেহজনক পদার্থ ধরা পড়ে। তাকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি যে উত্তর দেন তা ‘সন্তোষজনক ও গ্রহণযোগ্য’ ছিল না।
সালেহি বলেন, আইএইএ’র পরিদর্শকের দেহ তল্লাশি থেকে শুরু করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সার্বিক প্রক্রিয়ার ভিডিও সংরক্ষিত আছে। আইন অমান্য করে সন্দেহজনক পদার্থ বহনের দায়ে তাকে আটক করা উচিত ছিল কিন্তু কূটনৈতিক দায়মুক্তি থাকায় তাকে আটক না করে ফেরত পাঠানো হয় বলে তিনি জানান। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেন, তার দেশ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক চিঠি লিখে আইএইএ’কে জানিয়েছে।
ইরান গত ২৮ অক্টোবর আইএইএ’র একজন নারী পরিদর্শককে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশ করতে দেয়নি। ওই পরিদর্শকের কাছে সন্দেহজনক নাইট্রেট বিস্ফোরক দ্রব্য থাকায় তাকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ওই স্থাপনায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি এর আগে এ সম্পর্কে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য যেসব আইন তৈরি করা হয়েছে আইএইএ’কে সেসবের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। কারণ, নিজের স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য ইরান এসব আইন তৈরি করেছে।
ইরান ওই নারী পরিদর্শকের বিষয়টি উপযুক্ত দলিল-প্রমাণসহ তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে আইএইএ’কে অবহিত করে। এ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “আমরা এখন ওই চিঠির ব্যাপারে আইএইএ’র জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি এবং আশা করছি সংস্থাটি দায়িত্বশীল জবাব দেবে।”#
পার্সটুডে/এমএমআই/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।