'আমার পদবী হিসেবে কবরের ফলকে লিখুন: সৈনিক কাসেম সোলাইমানি '
(last modified Tue, 07 Jan 2020 07:27:48 GMT )
জানুয়ারি ০৭, ২০২০ ১৩:২৭ Asia/Dhaka
  • ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর  কুদস্‌ ব্রিগেডের সাবেক প্রধান শহীদ লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি
    ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস্‌ ব্রিগেডের সাবেক প্রধান শহীদ লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি

সাম্প্রতিক মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ-হওয়া সন্ত্রাস-বিরোধী বহুজাতিক জিহাদের কিংবদন্তীতুল্য সফল ইরানি সমরবিদ লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ও রণ-কৌশলী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত বিনয়ী ও নম্র ছিলেন।

 শহীদ হওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত ও ব্যাকুল এই সেনাপতি শাহাদতের অনেক আগেই ওসিয়তনামা লিখে রেখেছিলেন। ওসিয়তনামার একাংশে অসাধারণ খোদাভীরু এই সেনাপতি লিখেছিলেন, তাঁকে যেন ৮ বছরের প্রতিরোধ যুদ্ধের সময় শহীদ-হওয়া তাঁর সহযোদ্ধাদের কবরের পাশেই দাফন করা হয় এবং তাঁর কবরকেও ওইসব শহীদ সহযোদ্ধাদের কবরের মতই যেন সাধারণ রাখা হয়। আর তাঁর কবরের ফলকে বড় কোনো বিশেষণ না লিখে শুধু যেন লেখা হয় ‘সৈনিক কাসেম সোলাইমানি’!

 

তিনি প্রায়ই বলতেন, আমকে সেনাপতি বলবেন না, আমি সাধারণ সৈনিক মাত্র!

 

শহীদ সোলাইমানি ইরানের ওপর মার্কিন উস্কানিতে চাপিয়ে দেয়া ইরাকের ৮ বছরের যুদ্ধের সময় শহীদ-হওয়া তার সহযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে প্রায়ই অশ্রু-সজল হতেন এবং তাদের সঙ্গে শহীদ হতে পারেননি বলে গভীর দুঃখ প্রকাশ করতেন । তিনি নিজে ও ওই শহীদ যোদ্ধারা ছিলেন   ‘সারাল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর কুরবানি’ নামক একটি বিশেষ ইউনিট বা গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপের সদস্য হিসেবেই সোলাইমানি বেশ কয়েকটি অভিযানে সফল কমান্ডার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস্ ব্রিগেডের কমান্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

 

ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাত থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা তথা আল-আক্‌সা মসজিদসহ পবিত্র শহর বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করা কুদস্‌ ব্রিগেডের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।   #

পার্সটুডে/এমএএইচ/০৭ 

 

 

 

ট্যাগ