ইরানই মধ্যপ্রাচ্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানির অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করছে
আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থা বা আইআরইএনএ বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে ইরান।
আইআরইএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ইরানের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩ শতাংশ বেড়ে ২২,৭১০ মেগাওয়াট পৌঁছেছে। আর এতে গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের মোট নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশই একক ভাবে উৎপাদন করেছে ইরান। ২০১৮ সালে এ ক্ষেত্রে ইরানের উৎপাদন ছিল ৬৩ শতাংশ।গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধির ২৬ শতাংশই ঘটেছে নবায়নযোগ্য খাতে।
ইরানে পানিবিদ্যুতকে নবায়নযোগ্য বড় খাত হিসেবে গণ্য করা হয়। এ খাত থেকে নামমাত্র ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বহুবছরের খরায় ইরানের বাঁধগুলোর পানি স্তর নেমে গেছে এবং কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। অথচ এ খাতে ইরানের কমপক্ষে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
ইরানের বায়ু শক্তি, সৌর খামার, জৈববস্তু বা বায়োমাস এবং বর্জ্য পুড়িয়ে প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।
শক্তিতে রূপান্তর যোগ্য জৈব পদার্থকেই জৈববস্তু বা বায়োমাস হিসেবে গণ্য করা হয়। একে শক্তির বহুমুখী উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গাছ-গাছালী, জ্বালানি কাঠ, কাঠের বর্জ্য, শস্য ও ধানের তুষ, কুড়া, লতা-পাতা, পশু পাখির মল, পৌর বর্জ্য ইত্যাদিকে জৈববস্তু বা বায়োমাস হিসেবে ধরা হয়। বারোমাসের প্রধান উপাদান হলো কার্বন এবং হাইড্রোজেন।
ইরানে নবায়নযোগ্য শক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অযৌক্তিক তৎপরতা এ খাতে তেহরানের সম্প্রসারণ পরিকল্পনাকে ব্যাহত করছে।
পার্সটুডে/মূসা রেজা/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।