ইবনে সিনার মাজার কমপ্লেক্সের ভেতর-বাহির
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i82464
আবু আলি সিনা বা ইবনে সিনাকে চেনেন না এমন ব্যক্তি বিশ্বের সচেতন মহলে বিরল। শায়খুর রায়িস ছিল তাঁর উপাধি। তিনি একাধারে ছিলেন দার্শনিক, চিকিৎসাবিদ, গণিতবিদ এবং বিখ্যাত একজন জ্ঞানী-গুণী মনীষী।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
আগস্ট ২২, ২০২০ ২০:৪১ Asia/Dhaka
  • ইবনে সিনার মাজার কমপ্লেক্সের ভেতর-বাহির

আবু আলি সিনা বা ইবনে সিনাকে চেনেন না এমন ব্যক্তি বিশ্বের সচেতন মহলে বিরল। শায়খুর রায়িস ছিল তাঁর উপাধি। তিনি একাধারে ছিলেন দার্শনিক, চিকিৎসাবিদ, গণিতবিদ এবং বিখ্যাত একজন জ্ঞানী-গুণী মনীষী।

মাজার কমপ্লেক্সের চারপাশের মনোরম পরিবেশ

ইবনে সিনা বোখারার আফশানেতে ৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অত্যন্ত মেধাবী ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। মাত্র দশ বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা মুখস্ত করে ফেলেন। কুরআনের পাশাপাশি তিনি তিনজন গৃহ শিক্ষকের কাছে ধর্মতত্ত্ব, ফিকাহ্‌, তাফসীর, গণিত শাস্ত্র, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র, জ্যামিতি প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি তখনকার দিনে প্রচলিত প্রায় সকল জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। এ সময় তিনি ‘হাকিম' অর্থাৎ বিজ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান উপাধিতে ভূষিত হন।

ইবনে সিনা ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগের চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। চিকিৎসাবিদ্যায় তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হচ্ছে ‘আলকানুন ফিত তিব’। এতো নির্ভরযোগ্য কোনো গ্রন্থ সে সময় অন্তত চিকিৎসাশাস্ত্রে ছিল না। এই বইটি অনূদিত হবার পর পশ্চিমারা ব্যাপকভাবে বইটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয়গুলোতে বইটিকে পাঠ্য করে দেয়। 

ইরানের হামেদান শহরের একেবারে কেন্দ্রে ইবনে সিনার মাজার অবস্থিত। মাজার কমপ্লেক্সের চারপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম। বাগ-বাগিচা আর কৃত্রিম ফোয়ারায় নান্দনিক এবং উপভোগ্য করে তোলা হয়েছে। মাজারের ভেতরে প্রধান দুটি বিভাগ রয়েছে। একটি মিউজিয়াম অপরটি লাইব্রেরি।

দক্ষিণ দিকের অডিটোরিয়াম যেটি মিউজিয়াম হিসেবে পরিচিত সেখানে রয়েছে মৃৎশিল্প, প্রাচীন মুদ্রাসহ খ্রিষ্টপূর্ব সহস্রাধিক বছরের পুরোনো বিচিত্র সংগ্রহ। আর উত্তর দিকের অডিটোরিয়ামটি মূলত লাইব্রেরি। এখানে রাখা হয়েছে ইবনে সিনার লেখা যাবতীয় বই পুস্তকের সংগ্রহ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২