সিদ্ধান্ত আমেরিকাকেই নিতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে কঠিন সিদ্ধান্তটি আমেরিকাকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে আরোপিত অবৈধ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ফিরে আসবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আমেরিকাকেই নিতে হবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষর করা পরমাণু সমঝোতাকে আবার সক্রিয় করতে হলে ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যেতে হবে বলে শুক্রবার মার্কিন ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যে ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়ায় খাতিবজাদে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো একথা অন্য সবার চেয়ে ভালো জানে যে, আমেরিকা একতরফাভাবে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এবং ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ার পর ইরান ধাপে ধাপে নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছে। তিনি আরো বলেন, এরপরও ইরান এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার কারণেই এটি এখন পর্যন্ত টিকে আছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত তিন মাস ধরে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের যে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে সে সম্পর্কে খাতিবজাদে আরো বলেন, ভিয়েনা সংলাপে বহুবার আমেরিকাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মার্কিন অযাচিত পদক্ষেপের কারণেই বর্তমান অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কাজেই আমেরিকাকেই আগে তার ভুল সংশোধন করে এই সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভিয়েনা সংলাপের শুরু থেকে আমরা আমাদের নীতি-অবস্থানে অটল রয়েছি। আমেরিকাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার পর ইরান নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পুরোপুরি ফিরে যাবে। কাজেই কঠিন সিদ্ধান্তটি আমেরিকাকেই নিতে হবে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।