'স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত অজানা দিকগুলো উন্মোচিত হয়েছে'
প্রিয় মহোদয়, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতৃবৃন্দকে আমার অন্তরের ভালোবাসা ও প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানাই। গত ১৪ জুলাই সান্ধ্য অধিবেশনে 'স্বাস্থ্যকথা' অনুষ্ঠানে ভীষণভাবে সময়োপযোগী একটি বিষয়ে সাক্ষাৎকার শুনলাম। ঢাকার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কবীরুল হাসান বিন রকীব এই অনুষ্ঠানে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ও মতামত প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন আশরাফুর রহমান। তিনি করোনা সম্পর্কে মানুষের মনে জেগে ওঠা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর অবতারণা করেন। যে কারণে অনুষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা অনেকগুণ বেড়ে যায়। অনুষ্ঠানটি শুনে করোনা সম্পর্কে আমার অজানা অনেকগুলো দিক উন্মোচিত হয়েছে। ফলে আমি ভীষণভাবে উপকৃত হই।
করোনা টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে ডা. কবীরুল হাসান বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাস নতুন নতুন মিউটেশনের মাধ্যমে চরিত্র বদল করছে তাই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে সে শরীরে গিয়ে এক ধরনের মেমরি সেল তৈরি করে যা নতুন সংক্রমণ হলে তার বিরুদ্ধে আন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই ভ্যাকসিন নেওয়া সকলের জন্যই জরুরি।
বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার ডেল্টা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মানার রীতিকে দায়ী করেন। বর্ডার বন্ধ করার ঘোষণা যথাযথ কার্যকরী না হওয়ায় ভারতের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের বিষয়ে আলোচনায় তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে আক্রান্তরা বেশিমাত্রায় শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা ও অরুচি নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এবং অনেকের আই সি ইউতে আকস্মিক মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাকে ঠেকাতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি করোনাকে ‘দুষ্ট চরিত্রের ভয়ানক সংক্রামক এক ভাইরাস’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়াও বলেন, সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেই মানুষ নানারকম সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে পড়ে। প্রথমদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও মানুষের উদাসীনতা দেখা যায়। ফলে করোনা লাগামছাড়া হয়ে পড়ে। সবশেষে তিনি করোনা ঠেকাতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে আরও কিছুদিন কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে তিনি প্রান্তিক মানুষদের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা জোগান দেবার প্রস্তাব রাখেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বর্তমান সময়ে মানুষকে সচেতন করতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে আশা করি। কারণ সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র পারে সংক্রমণে লাগাম টানতে। করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত অজানা দিকগুলো তুলে ধরার জন্য রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ জানাই। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো শেষ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
ভাস্কর পাল
মহেন্দ্রনগর অগ্রগামী ক্লাব
পোস্ট: নাটাগড় (সোদপুর)
জেলা: উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।