'রংধনু অনুষ্ঠানটি ঈদ উৎসবে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে'
প্রিয় মহোদয়, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতৃবৃন্দকে আমার অন্তরের ভালোবাসা ও প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানাই। গত ২২ জুলাই সান্ধ্য অধিবেশনে কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে সুসজ্জিত 'রংধনু আসর' অনুষ্ঠানটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
আশরাফুর রহমানের গ্রন্থনা ও প্রযোজনায় এবং গাজী আব্দুর রশিদ ও আকতার জাহানের সম্মিলিত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। শিশু শিল্পীদের চমৎকার দুটি গান এবং ইরানের অনাহিতা ও বাংলাদেশের তাহিয়া, রাহেলা ও নিরবাসের কবিতা, ঈদের স্মৃতি এবং কুরবানির শিক্ষা নিয়ে সাজানো এই আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানটি ঈদ উৎসবে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
প্রথমেই 'কলরব' শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যদের কণ্ঠে ঈদের গান সুরের মূর্ছনায় ভরিয়ে তোলে। তাহিয়া জানাল- কুরবানির মাংস দরিদ্রদের মাঝে দান করার মধ্যে দিয়ে সে আনন্দ খুঁজে পায়। তারপর কুরবানির শিক্ষা নিয়ে রচিত 'কোরবানি ঈদ' কবিতাটি আবৃত্তি করল সে।
রাহেলা দোয়া করল যাতে করোনা সংক্রমণ চলে গিয়ে আবার সবাই আগের মতো ঈদের উৎসবে মেতে উঠতে পারে। তার কণ্ঠেও ঈদের একটি চমৎকার কবিতা আবৃত্তি শুনে মন ভরে গেল।
অনাহিতা একবছর বাংলাদেশে নানীর বাড়িতে ঈদ পালন করেছিল, সেদিনের আনন্দের কথা সকলের মাঝে ভাগ করে নিল। তারপর ঈদের ফার্সি ভাষায় একটি কবিতা শোনাল। তার কণ্ঠের জাদুতে সকলে মোহিত হল। এরপর নিবরাস 'ঈদের চাঁদ' কবিতাটি আবৃত্তি করে শ্রোতাদের মন জয় করে নিল।
এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত প্রতিটি গান ও কবিতা ঈদের আদর্শ ও মহত্বকে প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানটি শুনে ভীষণভাবে সমৃদ্ধ হলাম। ধনী-দরিদ্র, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সকলকে নিয়ে ঈদের আনন্দে সামিল হওয়া এবং পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ও অহঙ্কার ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারার মধ্যে রয়েছে ঈদের স্বার্থকতা।
আরও জানলাম ঈদ-উল আজহার তাৎপর্য হল মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। এর থেকে প্রধান শিক্ষা হল- জীবনের প্রিয়তম বস্তুকে হারাতে হলেও তা থেকে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। কুরবানি শুধু পশুর নয়, মনের ভিতরের পশুত্ব অর্থাৎ ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, দীনতা, আমিত্ব ও অহঙ্কার ত্যাগের কুরবানিই হল মূলকথা।
এই দিনের অনুষ্ঠান থেকে পরোপকার ও ত্যাগের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হলাম। এমন অসাধারণ একটি অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রেডিও তেহরানকে মন ভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
ভাস্কর পাল
মহেন্দ্রনগর অগ্রগামী ক্লাব
পোস্ট: নাটাগড় (সোদপুর)
জেলা: উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।