'সুন্দর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে রেডিও তেহরান'
(last modified Fri, 17 Jun 2022 08:45:03 GMT )
জুন ১৭, ২০২২ ১৪:৪৫ Asia/Dhaka
  • 'সুন্দর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে রেডিও তেহরান'

প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগ থেকে ১২ জুন রোববার প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'সুখের নীড়' আমাদের খুব ভালো লেগেছে। সুখের নীড় আসলে সুখী ও সুন্দর পরিবার গড়ার কলাকৌশল নিয়ে একটি অনুষ্ঠান। রেডিও তেহরান শুধু ইসলাম ও ইরানকে তুলে ধরার কাজই করছে না, একইসাথে সুন্দর ও আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে।

ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যে ধর্ম ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির কথা বলে। ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থাকে এক করে আদর্শ মানুষ গড়ার নামই ইসলাম। আর আধুনিক এ যুগে সে ব্রত পালন করছে, মানুষকে ইসলামের পতাকাতলে এনে সুন্দর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে রেডিও তেহরান।

১২ জুন প্রচারিত সুখের নীড়ও তার ব্যতিক্রম নয়। অনুষ্ঠানটির ১৯তম পর্বের উপস্থাপনায় ছিলেন সোহেল আহমেদ ও আকতার জাহান। তাঁদের সাবলীল উপস্থাপনায় ইসলাম ও ইরানের সুন্দর পরিবার গঠনের নানা দিক জানতে পারলাম। অনুষ্ঠান শুরু হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর একটি বাণী দিয়ে। মহানবী (সা.) বলেছেন, “তিনটি কাজ এক মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের বন্ধুত্বকে পরিশুদ্ধ ও আন্তরিক করে। এ তিন কাজ হল: যখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বা দেখা হয় তখন হাসিমুখে তার সঙ্গে কথা বলা বা আচরণ করা, তাকে বসতে দিতে বা কাছে আসার জন্য জায়গা করে দেয়া ও সুন্দর যে নাম তার পছন্দনীয় সে নামে তাকে ডাকা।”

মহানবীর এ দিকনির্দেশনা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বা পরিবারের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে পরিবারে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ে মন ও শরীরকে শান্তিতে রাখে। অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। তাই ইসলাম বিবাহ প্রথাকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং নারী-পুরুষকে বৈবাহিক জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে। 

অতঃপর অনুষ্ঠান থেকে আমরা ইরানের পরিবার ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। ইরানের পরিবারগুলোতে এখনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের একসাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও খাওয়া-দাওয়া বহাল তরিয়তে বজায় আছে। এগুলো সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। সেখানে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনেরা অন্য স্বজনদের বাড়ি বেড়াতে যান, নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা বলেন, নিজেরা হালকা হন।

আপনজনদের সাথে সাক্ষাৎ মানুষের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাদের মন প্রফুল্ল থাকে। আয়ু বেড়ে যায়। তাই ইরানের মত সব দেশের মানুষেরই পারস্পরিক যোগাযোগ রাখা জরুরী।  

রেডিও তেহরান এমন সুন্দর ও বাস্তবসম্মত একটি অনুষ্ঠান উপহার দেয়ায় বাংলা বিভাগকে আবারো ধন্যবাদ জানাই। আর আশা করি, এসব অনুষ্ঠান শুনে আমরা যেন আমাদের পরিবারকে সুন্দর ও সুখী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।   

 

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ- ২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭

ট্যাগ