'আমেরিকার অঙ্গুলি হেলনেই নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছেন'
(last modified Sun, 08 Oct 2023 14:32:30 GMT )
অক্টোবর ০৮, ২০২৩ ২০:৩২ Asia/Dhaka
  • 'আমেরিকার অঙ্গুলি হেলনেই নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছেন'

মহাশয়,  ফিলিস্তিনের প্রতি ভারতের সমর্থন ভারতের বিদেশ নীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭৪ সালে ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-কে ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র এবং বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এমন প্রথম অ- আরব রাষ্ট্র হয়ে ওঠে। ১৯৮৮ সালের ১৮ নভেম্বর ভারত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।

ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর লিখেছিলেন, "আরবদের ওপর ইহুদিদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় ও অমানবিক। ফিলিস্তিনে যা চলছে তা কোন নৈতিক আচরণ বিধির মাপকাঠিতে হতে পারে না"।

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, "ফিলিস্তিন মূলত একটি আরব দেশ এবং তাকে আরব দেশ হিসেবেই থাকতে দিতে হবে এবং ইহুদিদের স্বদেশের অধিকার ফিলিস্তিনিদের থেকে বিতরণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।" 

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীও একই পথে চলেছেন। তিনি প্যালেস্টাইন নেতা আরাফাতের সঙ্গে অতিঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভারতের অন্য প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও-ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, ভারত প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ডাকটিকিট ও প্রকাশ করে। নতুন দিল্লিতে ফিলিস্তিনের একটি দূতাবাসও আছে।

ভারতের চিরাচরিত অবস্থানকে পাল্টে দিয়ে আমেরিকার অঙ্গুলি হেলনেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অভিযানকে তিনি 'সন্ত্রাসী হামলা' বলে অভিহিত করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধপরাধ এবং সহিংসতা সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোতে সমর্থন দেওয়া থেকে ভারতকে বিরত রাখে। শুধু তাই নয়, মোদী একমাত্র এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ইসরাইল সফর করেছেন।

তবে সে যাই হোক, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভারতের সাধারণ জনগণের সমর্থন আজও অটুট। মোদি ভারতের পরম্পরা, ভারতের চিন্তা ও চেতনার বিপরীতে গিয়ে নিজস্ব নীতি প্রণয়নের চেষ্টা করছেন। ভুললে চলবে না ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশন প্রস্তাবের ইউএনজি এ সময় ভারত যে প্রস্তাব পেশ করে তাতে বলা হয়,  "ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে যেকোনো পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রাথমিক লক্ষ্য হতে হবে তাদের স্বাধীনতা।" ভারতের জনগণ এখনো এই মত ও পথেই বিশ্বাসী।

 

ধন্যবাদান্তে

বিধান চন্দ্র সান্যাল

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৮

 

ট্যাগ