'বয়স্করাও রংধনু আসর থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে ও শিখতে পারে'
https://parstoday.ir/bn/news/letter-i130332-'বয়স্করাও_রংধনু_আসর_থেকে_অনেক_মূল্যবান_তথ্য_জানতে_ও_শিখতে_পারে'
মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাদের একজন নিয়মিত শ্রোতা। ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রচারিত শিশুদের জন্য প্রচারিত রংধনু আসরের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলাম, খুব চমৎকার লেগেছে। রংধনু আসর শুধু কচিকাঁচা বয়সের শিশু কিশোরদের জন্যই জনপ্রিয় নয়, বরং বয়স্করাও এ অনুষ্ঠান থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে ও শিখতে পারে। 
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
নভেম্বর ০৫, ২০২৩ ১৫:৪৮ Asia/Dhaka
  • 'বয়স্করাও রংধনু আসর থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে ও শিখতে পারে'

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাদের একজন নিয়মিত শ্রোতা। ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রচারিত শিশুদের জন্য প্রচারিত রংধনু আসরের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলাম, খুব চমৎকার লেগেছে। রংধনু আসর শুধু কচিকাঁচা বয়সের শিশু কিশোরদের জন্যই জনপ্রিয় নয়, বরং বয়স্করাও এ অনুষ্ঠান থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে ও শিখতে পারে। 

২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের অনুষ্ঠানে হযরত ফাতেমা (রা.) এর একজন অভাবগ্রস্ত ভিক্ষুককে গলার হার দান করার বাস্তব কাহিনীটি শুনলাম, অনুষ্ঠানে বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। হযরত ফাতেমা (রা.)-এর দানশীলতা ইসলামের ইতিহাসে সত্যিই বিরল এবং উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। 

অনেকেরই হয়তো জানা আছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) হযরত ফাতেমার বিয়ের রাত্রির জন্যে একটি নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করেন। কারণ হযরত ফাতেমার (রা.) পরনের পোশাকটি পুরান ও তালি দেয়া ছিল। এমন সময় একজন ভিক্ষুক তাঁর দ্বারে হাজির হয়, ভিক্ষুকটি পরিধানের জন্যে একখানা বস্ত্র প্রার্থনা করে এবং হযরত ফাতেমা (রা.) তাঁর পরনের তালি দেয়া কাপড়টি দান করতে মনস্থির করেন। ঠিক তখনি তাঁর সুরা আল ইমরানের ৯২ নম্বর আয়াত মনে পড়ল যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন, "তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে দান না করা পর্যন্ত কখনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না।" আর তখনই হযরত ফাতেমা (রা.) তাঁর বিয়ের নতুন পোশাক ভিক্ষুককে দান করে দেন।

একইভাবে হযরত ফাতেমা (রা.) আল্লাহর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে মিসকিন, ইয়াতিম ও কয়েদীকে খাদ্য দান করে তিন দিন তাঁর পুরো পরিবার অভুক্ত হয়ে রোজা রেখে ইতিহাসে দানশীলতার যে নজির স্থাপন করেছেন, তা স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে। এজন্যই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁকে জান্নাতে নারীদের সর্দার হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। আমাদের সকলকে উপরোক্ত দানশীলতার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার তৌফিক দান করুন। আমিন। মা-আসসালাম।

 

বিনীতভাবে,

মো. জিল্লুর রহমান
ব্যাংকার ও লেখক,
সতিশ সরকার রোড,
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫