'রংধনু আসর ছোটদের অনুষ্ঠান হলেও এর বেশিরভাগ শ্রোতাই বড়রা'
(last modified Fri, 10 Nov 2023 13:50:48 GMT )
নভেম্বর ১০, ২০২৩ ১৯:৫০ Asia/Dhaka
  • 'রংধনু আসর ছোটদের অনুষ্ঠান হলেও এর বেশিরভাগ শ্রোতাই বড়রা'

জনাব, আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরান শ্রোতাদের অতি প্রিয় এক বেতার কেন্দ্রের নাম। তারা সপ্তাহে সাতদিন, মাসে ত্রিশ দিন এবং বছরে ৩৬৫ দিন রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনতে ভালোবাসেন। তবে এরমধ্যে কোন কোন দিন তাদের কাছে অধিক প্রিয়। কেননা সেসব দিনে তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানগুলো প্রচারিত হয়।

তেমনি একটি দিন বৃহস্পতিবার। কেননা, প্রতি বৃহস্পতিবারে প্রচারিত হয় রংধনু আসর। চমৎকার সব গল্প আর গানে ভরপুর থাকে অনুষ্ঠানটি। তাই এটি ছোটদের জন্য হলেও এর বেশিরভাগ শ্রোতাই বড়রা। আমরাও আমাদের পরিবারের সবাই মিলে রংধনু আসর শুনে থাকি।

৯ নভেম্বর প্রচারিত রংধনু আসরের উপস্থাপনায় ছিলেন গাজী আব্দুর রশিদ ও আকতার জাহান। আর এতে প্রচারিত হয় ‘কবুতর ও আবু তিমার’ নামের একটি গল্প। উপস্থপনা থেকে জানতে পেরেছি যে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের একটি বই থেকে গল্পটি নেয়া হয়েছে। বইটির নাম ‘কালিলা ও দিমনা’।

আসলে ইরানের সাহিত্য যে কত পুরোনো ও সমৃদ্ধ তা এ থেকেই বুঝা যায়। প্রাচীন কাল থেকেই শিল্প-সাহিত্য সমৃদ্ধ ইরানের অনেক গল্প বাংলাদেশেও বহুল প্রচলিত। আমাদের সাহিত্য ও ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে ইরানি সাহিত্য ও শব্দভাণ্ডার দ্বারা। আর সেজন্য ইরানি গল্পগুলো শুনতে আমাদের খুব ভালো লাগে। আশরাফুর রহমান ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এমন প্রাচীন একটি গল্প আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।

কবুতর ও বুদ্ধিমান বকের গল্পটি আমাদের খুব ভালো লেগেছে। দুষ্টুকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা বুদ্ধিমান বকটি মানে 'আবু তিমার' ভালোই জানতো। আমি মনে করি, আমাদের সমাজের দুষ্টুগুলোকেও এভাবে শায়েস্তা করা দরকার। যদিও গল্পে কিছু সময়ের জন্য ভয় পেয়েছিলাম এই ভেবে যে, দুষ্টু শিয়াল বকটিকে খেয়ে ফেলে কিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবু তিমার সতর্ক হলো এবং বেঁচে গেল। তার সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তব হলো। অর্থাৎ আনন্দ, উৎকণ্ঠা আর স্বস্থির মধ্যে কেটেছে গল্প শোনার সময়টি। একজন গল্পকারের এটিই বড় সাফল্য। আর এর অন্তর্নিহিত শিক্ষা তো আমরা অনুধাবন করতে পেরেছিই।

তবে ‘কালিলা ও দিমানা’ গ্রন্থটির লেখক কে তা জানা হলো না। আশা করি পরবর্তী কোন পর্বে চমৎকার এ গ্রন্থটির লেখকের নাম জানাবেন। সম্ভব হলে তাঁর পরিচয়ও তুলে ধরবেন।

 

 

ধন্যবাদান্তে,

শরিফা আক্তার পান্না

অর্থ-সম্পাদক, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব, কিশোরগঞ্জ

ছায়াপ্রস্থ, ২০৬/১ খড়ম পট্টি, কিশোরগঞ্জ- ২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০

 

ট্যাগ