'২০২০ সালে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগে আমূল পরিবর্তন এসেছে'
-
আনন্দ মোহন বাইন
আমি রেডিও তেহরান প্রায় প্রতিদিন শুনি। রেডিও তেহরানের প্রতিটি অনুষ্ঠান খুব উঁচুমানের। আমি পৃথিবীর প্রায় সব বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার চেষ্টা করি। রিসেপশন রিপোর্ট পাঠিয়ে QSL কার্ড কালেক্ট করা আমার অনেক বছরের অভ্যাস।ছাত্রজীবন থেকে আমি রেডিও শুনে আসছি।
আপনারা অনুষ্ঠান শুরু করেন ইরানের জাতীয় সংগীত ও পবিত্র গ্রন্থ কুরআন থেকে তেলাওয়াত শুনিয়ে। তার পরে বিশ্বসংবাদ। এই সংবাদে ইরান, ভারত, বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ খবর তুলে ধরেন। ভারত ও বাংলাদেশের দুই সংবাদদাতার নিরপেক্ষ রিপোর্ট সবার ভালো লাগে। দৃষ্টিপাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিদিন তুলে ধরা হয়।রেডিও তেহরান একমাত্র রেডিও যেখান থেকে আমরা আমেরিকার দাদাগিরি সম্পর্কে জানতে পারি।
রংধনু ও কথাবার্তা দুটি অনুষ্ঠান শ্রোতাদের খুব প্রিয়। প্রিয়জন শুনতে না পেলে শ্রোতারা মন খারাপ করেন।
রংধনুতে ছোটদের গল্প আমরা বড়রা মন দিয়ে শুনি। গল্প পরিবেশনা করার যে তরিকা সেটা অন্য কোনো বেতার কেন্দ্র থেকে আজকাল শোনা যায় না। কথাবার্তা অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলামের বিশ্লেষণ সবার মন কেড়ে নেয়।
২০২০ সাল সবার জন্য করোনা বিপদ নিয়ে এসেছে সবাই চিন্তিত। কিন্তু ২০২০ সালে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগে আমূল পরিবর্তন এসেছে। রেডিও তেহরান সবক্ষেত্রে শ্রোতাবান্ধব হয়ে হয়ে উঠেছে। রেডিও তেহরানের সবাই আমাদের খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে সব থেকে বড় ক্রেডিট দিতে হবে আশরাফুর রহমান সাহেবকে তার অক্লান্ত চেষ্টা এই স্টেশনকে নতুন রূপ দিয়েছে। তাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আনন্দ মোহন বাইন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, পরিবার বন্ধু swl ক্লাব
জিলা- দুর্গ, ছত্তিসগড়, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।