মে ০৯, ২০২৩ ১২:৩১ Asia/Dhaka
  • ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কমান্ডার শহীদ
    ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কমান্ডার শহীদ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কমান্ডার শহীদ হয়েছেন। হামলায় তাদের স্ত্রী এবং সন্তানরাও শহীদ হন। 

আজ (মঙ্গলবার) সকালে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালালে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের এসব কমান্ডার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ হন। আজকের হামলায় মোট ১৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং বিশ জন আহত হয়েছেন। শহীদের মধ্যে ৪টি শিশু ও চারজন নারীও রয়েছেন। গাজার রাফা এবং খান ইউনুস শহরে এসব হামলা চালানো হয়। 

দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, বিমান হামলায় জিহাদ আন্দোলনের উত্তর গাজা উপত্যকার আল-কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার খলিল বাহিতিনি, জিহাদ আন্দোলনের মুখপাত্র তারেক ইজ্জাদ্দিন এবং সংগঠনের সামরিক পরিষদের সেক্রেটারি জিহাদ গানেম নিহত হয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার পর ইহুদিবাদী ইসরাঈলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়ভ গালান্ত বিশেষ পরিস্থিতি ঘোষণা করেন এবং তিনি প্রয়োজন অনুসারে রিজার্ভ সেনা তলবের বিষয়টি অনুমোদন করেন। এছাড়া, বিমান হামলার পর গাজা উপত্যকার সীমান্ত জুড়ে মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ইসরাইলের আশকেলন শহরে রেল চলাচল স্থগিত করা হয়।

ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, জিহাদ আন্দোলনের অত্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ের অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন বাহিতিনি এবং তিনি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেট হামলা চালাতেন। এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ইসরাইল জিহাদ আন্দোলনের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

জিহাদ আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, বিমান হামলায় তিন কমান্ডারের স্ত্রী এবং কয়েকজন সন্তান-সন্ততিও শহীদ হন। ইসলামি জিহাদ আন্দোলন এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব শহীদের রক্ত তাদের মনোবল আরো দৃঢ় করবে এবং হত্যাকাণ্ডের ফলে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না বরং ইসরাইল-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/এমএআর/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ