অক্টোবর ০৮, ২০২৩ ০৯:৫৩ Asia/Dhaka
  • নিহত ইসরাইলির সংখ্যা বেড়ে ৬০০; গাজায় ২৫৬ ফিলিস্তিনির শাহাদাত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ‘আল-আকসার তুফান’ নামক নজিরবিহীন অভিযানে নিহত ইসরাইলির সংখ্যা ৬০০-এ উন্নীত হয়েছে। ওই অভিযানে আহত হয়েছে আরো ২,০০০ ইহুদিবাদী। ইসরাইলের সরকারি সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইসরাইল ও হারেত্‌জ এ খবর নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে শনিবার দিনব্যাপী ইসরাইলি নির্বিচার বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার অন্তত ৩৭০ ফিলিস্তিনি শহীদ ও দুই হাজার দুইশ আহত হয়েছে।

শনিবার ভোরে আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীরা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহর ও অবৈধ ইহুদি বসতি লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করে।সেইসঙ্গে গাজা সীমান্ত দিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা ইসরাইলে ঢুকে পড়েন। 

ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাসে একদিনের হামলায় ইসরাইলের এত বিশাল ক্ষয়ক্ষতি আর কখনও হয়নি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা হয়েছিল ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে। তবে সে হামলা ফিলিস্তিনিরা করেনি বরং মিশর ও সিরিয়া যৌথভাবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইহুদিদের ইওম কিপ্পুর ছুটির দিনে ওই হামলা হয়েছিল বলে তাকে ইওম কিপ্পুর যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ওই যুদ্ধ ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।

ইসরাইলি সেনা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মগোপনে চলে যাওয়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের ২২টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এরমধ্যে অন্তত দু’টি স্থানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে ইসরাইলি পণবন্দি ছিল।একাধিক স্থানে হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করে ইহুদিবাদী পণবন্দিদের মুক্ত করার দাবি করেছে তেল আবিব।

এরপর কী হতে যাচ্ছে? 

ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার সাতটি স্থানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের সহায় সম্বল ফেলে রেখে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। এসব এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তেল আবিব আকাশপথে নির্বিচারে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালানো হবে বলে ঘোষণা করেছে। ইহুদিবাদী সরকার বলছে, তারা হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের যুদ্ধ করার সক্ষমতা ধ্বংস করতে যা কিছু করা প্রয়োজন তা করবে। কিন্তু ইতিহাস বলছে, ইসরাইলিরা সাম্প্রতিক অতীতে গাজা উপত্যকার ওপর চার চারটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। প্রতিবারই তেল আবিব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীদের ‘উল্লেখযোগ্য’ ক্ষতি করার দাবি করেছে। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিরোধ যোদ্ধারা আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন যার প্রমাণ হামাসের শনিবারের ভয়াবহ হামলা।#

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ