নভেম্বর ৩০, ২০২৩ ১১:৪১ Asia/Dhaka
  • নাসের আবু-শারিফ
    নাসের আবু-শারিফ

গত ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ইসরাইল বিরোধী অভিযানে ইরানের অভ্যন্তরে ইহুদিবাদীদের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তেহরানে নিযুক্ত ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধি নাসের আবু-শারিফ এ খবর দিয়েছেন।

তিনি গতকাল (বুধবার) তেহরানে এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় একথা বলেন।  অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের কথা উল্লেখ করে শারিফ বলেন, “ওই অভিযানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইল সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সারভার গাজা উপত্যকায় নিয়ে আসে।” তিনি বলেন, “ওই সারভারে ইসরাইলের পক্ষে কাজ করা বহু গুপ্তচরের নাম রয়েছে যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইরানের নাগরিক।” এসব গুপ্তচর ইরানের অভ্যন্তরেই বসবাস করছে বলেও তিনি জানান। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের দশকের পর দশক ধরে চলা নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ অক্টোবরের অভিযান চালান ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তারা গাজা সীমান্তের অদূরে ইসরাইলের প্রায় ৫০টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালান। অভিযানে প্রায় ৪০০ সেনাসহ মোট ১,২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা শত শত ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যান।

এ সম্পর্কে আবু-শারিফ আরো বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি বিশাল অর্জন কারণ, সেদিন ইসরাইলসহ গোটা বিশ্বের সব গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।

তেহরানে নিযুক্ত জিহাদ আন্দেলনের প্রতিনিধি আরো বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযানে প্রমাণিত হয়েছে, কারো সাহায্য ছাড়া ইহুদিবাদী সরকার একা টিকে থাকতে পারবে না।  ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সরকারের অন্ধ সমর্থনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এমনকি আমরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি পাশবিক হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যুদ্ধের কমান্ড সেন্টারেও প্রবেশ করতে দেখেছি।”

তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের আগে ইসরাইলি নাগরিকরা মনে করত তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান তাদের সে কল্পনার ফানুসকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। এছাড়া, ওই অভিযানে ইসরাইলের অর্থনীতি, কৃষি ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। #

পার্সটুডে/এমএমআই/৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ