জানুয়ারি ১২, ২০২৪ ১৪:৪০ Asia/Dhaka

মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সেনা অবস্থানগুলোতে হামলা চালিয়েছে। হামলার জন্য জাতিসংঘের অনুমতি নেয়া হয়নি বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত নির্দেশে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ হামলা চালানো হয়।

গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক গণহত্যার জবাবে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে যে হামলা চালিয়ে আসছিল তার জবাব দিতে আমেরিকা ও ব্রিটেন এ হামলা চালিয়েছে। নেদার‍ল্যান্ড, কানাডা ও বাহরাইন এ হামলায় সমর্থন জানালেও তারা সরাসরি আগ্রাসনে অংশগ্রহণ করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।  ফ্রান্স ইয়েমেনের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

হুথি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তজা এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, “ইঙ্গো-মার্কন-ইহুদিবাদী চক্র ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হুদায়দা, সা’দা ও ধামার শহরে হামলা চালিয়েছে।” একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমান, রণতরী ও সাবমেরিন থেকে একযোগে এ হামলা চালানো হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা বিশেষ করে অস্ত্রের গুদাম, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের স্থানগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে এপির একজন সংবাদদাতা বলেছেন, তিনি চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও আকাশ কোনো যুদ্ধবিমানের আনাগোনা টের পাননি।

ইয়েমেনের হুদায়দা বন্দরের দু’জন অধিবাসী জানিয়েছেন, তারা পাঁচটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত হুদায়দা বন্দর হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় বন্দর হিসেবে পরিচিত। 

হুথি নেতারা বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলগামী ও ইসরাইলি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো হামলা চলতে থাকবে। এসব নেতা তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, আমেরিকার সম্ভাব্য যেকোনো হামলার জবাব দেয়া হবে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ১২

ট্যাগ