মার্চ ০২, ২০২৪ ০৯:৪৩ Asia/Dhaka
  • মাসে এই তিন পণবন্দির ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল হামাস। তাদের সবাই পরবর্তীতে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে।
    মাসে এই তিন পণবন্দির ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল হামাস। তাদের সবাই পরবর্তীতে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় সাত ইহুদিবাদী পণবন্দি নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

সংগঠনের সামরিক বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এ খবর জানিয়ে বলেছেন, তারা এর আগে একদল ইসরাইলি পণবন্দির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং তাদের ধারনা ছিল ইসরাইলি বিমান হামলায় হয়তো তাদের কেউ কেউ নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ইহুদিবাদী শত্রুদের বিমান হামলায় সাত ইসরাইলি পণবন্দি ও তাদের পাহারায় নিযুক্ত বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আবু ওবায়দা বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর তারা এক ভিডিওতে যে তিন বয়োবৃদ্ধ জীবিত পণবন্দির বক্তব্য প্রকাশ করেছিলেন তারা ওই নিহত সাত পণবন্দির মধ্যে রয়েছেন। ওই তিন নিহত পণবন্দির নাম প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাকি চারজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ামাত্র তাদের নামও প্রকাশ করা হবে। ওই তিন নিহত ব্যক্তির মধ্যে একজন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে আবু ওবায়দা জানান।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত পণবন্দির সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে।  তিনি বলেন, আমরা আমাদের হাতে আটক পণবন্দিদের জীবন রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও ইসরাইল সরকার তাদেরকে হত্যা করার মাধ্যমে পণবন্দি বিনিময়ের আলোচনাকে শেষ করে দিতে চায়।

নেতানিয়াহু এমনকি তার বন্ধুকেও হত্যা করতে দ্বিধা করেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।  হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র বলেন, বন্দি বিনিময়ের সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত প্রত্যেক পণবন্দিকে জীবিত পণবন্দিদের সমান মূল্য দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হবে।

গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত একাধিকবার পণবন্দিদের ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযান চালাতে গিয়ে তাদেরকে মেরে ফেলেছে ইসরাইলি সেনারা। ইহুদিবাদী সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার না করলেও তারা পরবর্তীতে তাদের এই ন্যাক্কারজনক কাজের দায় স্বীকার করেছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/২

ট্যাগ