নর ও নারী সৃষ্টির রহস্য 
(last modified Sat, 11 May 2024 14:42:45 GMT )
মে ১১, ২০২৪ ২০:৪২ Asia/Dhaka
  • ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও দার্শনিক মরহুম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকি মেজবাহ ইয়াজদি
    ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও দার্শনিক মরহুম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকি মেজবাহ ইয়াজদি

পার্সটুডে- মানুষ যদি পূর্ণতার পথে সঠিকভাবে এগিয়ে যায় তাহলে তারা মহান আল্লাহর নামগুলোর প্রতিফলক হতে পারে।

পুরুষরা মহান আল্লাহর জালালি নাম তথা শক্তিমত্তা, শান-শওকত ও পরাক্রমের ঔজ্জ্বল্যে ভরপুর নামগুলোর প্রতিফলন পছন্দ করে নিজেদের মধ্যে। অন্যদিকে নারীরা মহান আল্লাহর জামালি নাম তথা দয়া, প্রেম ও করুণার মত প্রশান্ত-সৌন্দর্য-জ্ঞাপক নামগুলোর প্রতিফলন পছন্দ করে নিজেদের মধ্যে।–এ কথাগুলো বলেছেন ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও দার্শনিক মরহুম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকি মেজবাহ ইয়াজদি। 

মানুষ খোদায়ি নাম ও গুণগুলোর প্রকাশ

তাঁর মতে মানুষ খোদায়ি নাম ও গুণগুলোর প্রকাশ। মানুষ মহান আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় নিদর্শন। অন্য কথায় আধ্যাত্মিক রহস্যবাদীদের ভাষায় মানুষ হচ্ছে খোদায়ি নাম ও গুণগুলোর প্রকাশ।  

পরিপূর্ণ মানব হচ্ছে সেইসব মানুষ যার মধ্যে খোদায়ি সব নাম ও গুণের প্রকাশ ঘটে যেমনটি ঘটেছে মহানবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের মধ্যে। মহান আল্লাহর নামগুলো (আসমাউল হুসনা) ও গুণগুলোর রঙে রঙিন হতে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুরুষরা যেমন মহান আল্লাহর উচ্চতর বা সর্বোচ্চ নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম নারীরাও সেই পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম যেমনটি আমরা দেখি নবী-নন্দিনী হযরত ফাতিমার (সা.আ) উচ্চ মর্যাদার ক্ষেত্রে।

নর ও নারীর ক্ষেত্রে খোদায়ি গুণাবলীর প্রকাশের ভিন্ন রূপ

আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ) ও হযরত ফাতিমা (সা. আ) ছিলেন মহানবীর (সা) পবিত্র বা নিষ্পাপ আহলে বাইতের সদস্য যার ইঙ্গিত রয়েছে পবিত্র কুরআনে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের দিক থেকে তাঁরা ছিলেন প্রায় একই পর্যায়ের। কিন্তু নারী ও পুরুষ হিসেবে তাঁদের মধ্যে খোদায়ি নামগুলোর প্রকাশে ভিন্নতা রয়েছে। 

হযরত আলী (আ) ছিলেন মহানবীর (সা) স্থলাভিষিক্ত ও প্রতিনিধি এবং পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত মহানবীর (সা) আহলে বাইতের এমন একজন সদস্য যিনি বীরত্ব, সাহসিকতা, ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়তার জন্য খ্যাতিমান।  অন্যদিকে হযরত ফাতিমা জাহরা (সা. আ)ও ছিলেন মহানবীর (আ) সেই আহলে বাইতেরই এমন এক সদস্য যার দয়া ও অন্যদের কল্যাণ বা সাহায্যের জন্য উদারতা, ইবাদাত এবং এ ধরনের আরও মহতী গুণের জন্য খ্যাতিমান। 

এভাবে আমরা দেখছি দু'জন পূর্ণাঙ্গ বা পরিপূর্ণ মানব যাদের রয়েছে বিশেষ ধরনের উচ্চতর খোদায়ি গুণাবলী।

আল্লাহর গুণগুলো দুই ধরনের: জালালি বা মহামহিম  কিছু গুণ যেমন শক্তিমত্তা, শান-শওকত, গৌরব ও পরাক্রম ইত্যাদি এবং জামালি বা সৌন্দর্যবোধক কিছু গুণ যেমন, সৌন্দর্য, আলো, দয়া ও করুণা ইত্যাদি। 

নারী ও পুরুষ হচ্ছে মহান আল্লাহর এই দুই ধরনের খোদায়ি গুণের প্রকাশ

তাই মানুষ যদি পূর্ণতার পথে সঠিকভাবে এগিয়ে যায় তাহলে তারা মহান আল্লাহর নামগুলোর প্রতিফলক হতে পারে। পুরুষরা মহান আল্লাহর জালালি নাম তথা শক্তিমত্তা, শান-শওকত ও পরাক্রমের ঔজ্জ্বল্যে ভরপুর নামগুলোর প্রতিফলন পছন্দ করে নিজেদের মধ্যে। অন্যদিকে নারীরা মহান আল্লাহর জামালি নাম তথা দয়া, প্রেম ও করুণার মত প্রশান্ত-সৌন্দর্যজ্ঞাপক নামগুলোর প্রতিফলন পছন্দ করে নিজেদের মধ্যে।
আর এসবই নারী ও পুরুষ সৃষ্টির নেপথ্যে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর বিচক্ষণ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত যা সৃষ্টি জগতকে ঘিরে রেখেছে যাতে তারা মহান আল্লাহর দুই ভিন্ন ধরনের গুণগুলোর প্রকাশ বা প্রতিফলন ঘটায় এবং জীবন সবচেয়ে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা পায়। # 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।