'সুখী হওয়ার জন্য আশাবাদী হোন' - ইসলামে আশাবাদ ও ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব
পার্সটুডে: আশাবাদ বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে আমরা বুঝি- জীবনের সকল ইতিবাচক, আনন্দদায়ক এবং আশা জাগানিয়া মানসিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নেতিবাচক মনোভাব এবং হতাশাজনক অনুভূতির কাছে আত্মসমর্পণ না করা।
এই প্রতিবেদনে আমরা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আশাবাদ বা ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
আশাবাদী কে?
আশাবাদী ব্যক্তি হলেন তিনি, যিনি বাস্তবতা ও অন্যের আচরণ সম্পর্কে নেতিবাচক ব্যাখ্যা মেনে না নেন, কাল্পনিক ও হতাশাবাদী চিন্তা থেকে দূরে থাকেন এবং ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন।
আশাবাদ বা ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব
আশাবাদী হওয়া আত্মার সুস্থতা ও পবিত্রতার লক্ষণ। যাদের হৃদয় পবিত্র, তাদের মনে সাধারণত শুধু ভালো চিন্তাই আসে। হযরত আলী (আ.) বলেছেন: "সু-ধারণা (আশাবাদিতা) মানবিক গুণাবলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর অন্যতম মহান দান।"
আশাবাদিতার প্রকারভেদ
১. আল্লাহর প্রতি আশাবাদ: মুমিনদের অন্যতম গুণ হলো- আল্লাহর প্রতি সদিচ্ছা বা আশা রাখা। এতে আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে (রিজিক, সাহায্য, মাফ করা ইত্যাদি) আস্থা রাখা হয়।
২. নিজের প্রতি আশাবাদ: ইসলামের দৃষ্টিতে এই প্রকার আশাবাদিতা অগ্রহণযোগ্য, কারণ এতে মানুষ নিজেকে নির্দোষ মনে করে এবং আত্মঅহংকারে ভোগে।
৩. অন্যদের প্রতি আশাবাদ: ইসলাম আমাদের আশেপাশের মানুষ ও ঘটনাবলির প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে উৎসাহিত করে, যা আধুনিক মনোবিজ্ঞানও সমর্থন করে।
আশাবাদ কিন্তু অন্ধবিশ্বাস নয়
ইতিবাচক চিন্তা কখনোই অদূরদর্শিতা বা সহজ-সরলতা নয়। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সহজ-সরলতা দায়িত্বহীনতার ওপর ভিত্তি করে, কিন্তু আশাবাদ সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত। একজন মুমিনকে হতে হবে সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সতর্ক, যেন কেউ তার সরলতা কাজে লাগাতে না পারে।
ইতিবাচক চিন্তা ও আশাবাদের সুফল
মানসিক শান্তি, দুঃখ দূরীকরণ, ভালোবাসা সৃষ্টি, গুনাহ থেকে বাঁচা, মানসিক সুস্থতা আনন্দ ও প্রাণবন্ততা এবং ধৈর্য বৃদ্ধি
ইতিবাচক চিন্তা গঠনের উপায়
১. নেতিবাচক চিন্তার ক্ষতিকর দিকগুলো চিহ্নিত করা ২. ঈমানকে শক্তিশালী করা ৩. চিন্তাভাবনা পরিশুদ্ধ করা
পার্সটুডে/এমএআর/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।