ইউরোপে ইসলাম-বিদ্বেষ বিস্তারে দ্বিমুখী নীতি বা কপটতার প্রয়োগ
https://parstoday.ir/bn/news/religion_islam-i106796-ইউরোপে_ইসলাম_বিদ্বেষ_বিস্তারে_দ্বিমুখী_নীতি_বা_কপটতার_প্রয়োগ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপিয় নানা দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপের উগ্র ডানপন্থী দলগুলোসহ নানা আন্দোলন ও দল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ১৭, ২০২২ ২০:১৫ Asia/Dhaka
  • পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করছেন এক উগ্র ইউরোপিয় নেতা (ফাইল ছবি)
    পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করছেন এক উগ্র ইউরোপিয় নেতা (ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপিয় নানা দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপের উগ্র ডানপন্থী দলগুলোসহ নানা আন্দোলন ও দল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

সম্প্রতি সুইডেনে রাসমুস পালুদান নামের এক উগ্র ডানপন্থী নেতা পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানোর পদক্ষেপ নিলে সেখানে সংঘাত সৃষ্টি হয়। ডেনমার্কের 'হার্ড লাইন' নামক দলের এই নেতা তার সমর্থকদের নিয়ে সুইডেনের লিংকোপিং নামের এক শহরে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু এই নেতা তার সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশ শুরুর আগেই তাদের সঙ্গে ও পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদী মুসলমানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ২০২০ সালের আগস্ট মাসেও সুইডেনের একটি শহরে অনুরূপ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সড়ক দাঙ্গা সৃষ্টি করে।  

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতার নামে ইউরোপিয় সরকারগুলো ইসলাম-বিদ্বেষী এইসব তৎপরতা চালানোর অনুমতি দিচ্ছে। অথচ দেখা গেছে ইউরোপের সরকারগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কথিত ইহুদি-নিধন বা হলোকাস্টসহ কোনো কোনো বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতাকে সহ্য করছে না। কেবল ইসলাম ও এ ধর্মের পবিত্র বিষয়গুলোর প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশের বেলায় তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতার অজুহাত ব্যবহার করছেন। দেখা গেছে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রেও অনেক ইউরোপীয় সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করছে না। 

ফ্রান্সের শার্লি এবদো নামক ম্যাগাজিন মহানবীর প্রতি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশ করলে মুসলমানদের প্রতিবাদকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এই বলে উপেক্ষা করেন যে ফ্রান্স সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় ও বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অথচ ম্যাকরনকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে ছবি প্রকাশের দায়ে ওই ছবি প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ম্যাকরন। ফ্রান্সে হলোকাস্টের সত্যতার বিষয়ে বা এ সম্পর্কিত অতিরঞ্জিত তথ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলাও আইনত নিষিদ্ধ।

ম্যাকরন ও ফ্রান্সের আরেক উগ্র নেতা ম্যারি লোপেন মুসলিম নারীদের হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করছেন। ম্যারি লো পেন প্রকাশ্য স্থানে হিজাব পরিধানের জন্য জরিমানা করার পক্ষে মত দিয়েছেন। ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরাকে আইন পাস করে নিষিদ্ধ করে রেখেছে সেখানকার সরকার।

এভাবে ইউরোপের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমেই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ  জোরদার করছে স্বাধীনতার বিষয়ে দ্বিমুখী বা কপটতার নীতি প্রয়োগ করে।  #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১৭