বিশ্বের প্রথম মানব বসতি কোথায়?
-
খোররামাবাদ উপত্যকা
পার্সটুডে: ইরানের সংস্কৃতি ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্পবিষয়কমন্ত্রী সাইয়েদ রেজা সালেহি আমিরি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় লোরেস্তান প্রদেশের 'খোররামাবাদের প্রাগৈতিহাসিক উপত্যকা'র অন্তর্ভুক্তিকে বিশ্ব সংস্কৃতির জন্য 'একটি ঐতিহাসিক ঘটনা' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোর ৪৭তম বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির অধিবেশনে "খোররামাবাদের প্রাগৈতিহাসিক উপত্যকা" বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর গতরাতে (শুক্রবার) এক সাক্ষাৎকারে সালেহি আমিরি এ অর্জনকে 'ইরানের সাংস্কৃতিক কূটনীতির একটি মাইলফলক ও এই ভূখণ্ডের বিশাল সভ্যতাগত সম্ভাবনার প্রতিফলন' বলে উল্লেখ করেন।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, খোররামাবাদ উপত্যকা ইরানের ২৯তম ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্য। বৈজ্ঞানিক তথ্য ও বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক গবেষণাগারে করা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে খোররামাবাদ উপত্যকাকে বিশ্বে মানুষের প্রথম ও প্রমাণিত বসতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলের ইতিহাস প্রায় ৬৫ হাজার বছরের পুরোনো।

সালেহি আমিরি উল্লেখ করেন, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বৈঠকে এই স্থান সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনার সময় কমিটির পরিচালক তিনবার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এত প্রাচীন ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কোনো মানব বসতি এর আগে বিশ্বের আর কোনো দেশে শনাক্ত বা অনুমোদিত হয়নি। ফলে এই তালিকাভুক্তি শুধু ইরানের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতি ও বৈশ্বিক স্মৃতির জন্য এক অসাধারণ ও নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, ইরান তার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। বিগত কয়েক বছর ধরে ইউনেসকোতে নিয়মিতভাবে নথি পেশ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে প্রতি বছর একাধিক নতুন ঐতিহ্যকে ইউনেস্কোতে উপস্থাপন ও তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে।
সালেহি আমিরি তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, খোররামাবাদ উপত্যকার এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি ইরানি সভ্যতার প্রামাণ্যতা ও গভীরতার দলিল যা বিশ্ব সভ্যতার সঙ্গে সংলাপ ও বিনিময়ের পথে একটি বিশাল পদক্ষেপ।#
পার্সটুডে/এমএআর/১২